নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের শেয়ারবাজার গত এক বছরে বেশ কিছু কাঠামোগত ইতিবাচক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হলো—প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং অন্যান্য অংশীজনরা শেয়ার কেনাবেচায় সরাসরি ফোনে হস্তক্ষেপ বন্ধ করেছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত বাজারের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ।
কারসাজি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ
পূর্ববর্তী সময়ে বাজারে কারসাজি ও অনিয়ম বিনিয়োগকারীদের আস্থা ক্ষুণ্ন করেছিল। তবে বিএসইসির কঠোর নজরদারি, এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশন এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থার ফলে এসব কর্মকাণ্ড উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর ফলে লেনদেন প্রক্রিয়া এখন আরও সুশৃঙ্খল ও নিয়মভিত্তিক হয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদে সম্ভাবনা বাড়াতে টাস্কফোর্সের সুপারিশ
বাজার উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে বিএসইসির গঠিত টাস্কফোর্স বেশ কিছু কৌশলগত সুপারিশ দিয়েছে। এগুলোর বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারের দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে। যদিও নতুন আইপিওর ঘাটতি ও মানসম্পন্ন শেয়ারের স্বল্পতা এখনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে, নীতি সংস্কার ও বাস্তবায়ন জোরদারের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।
দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক পদক্ষেপ
বিএসইসি সম্প্রতি কয়েকজন দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে এবং নজরদারি কার্যক্রম শক্তিশালী করেছে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনঃস্থাপন এবং বাজারে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
লেনদেন ও সূচকের উন্নতি
ইতিবাচক নীতি পরিবর্তনের প্রভাবে বাজারে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা বেড়েছে। এর ফলে লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রধান সূচকগুলো স্থিতিশীলতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
বিএসইসির হস্তক্ষেপহীন নীতি, কার্যকর নজরদারি এবং কাঠামোগত সংস্কার পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও স্থিতিশীলতা আনতে সহায়তা করছে। এসব পদক্ষেপ বাজারকে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় পরিচালিত হতে সহায়তা করছে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
মো: জাহিদ/
নিউজটি আপডেট করেছেন : Jatiyo Potrika
প্রথমবার হস্তক্ষেপ ছাড়া লেনদেন: পুঁজিবাজারে ইতিবাচক সাড়া
- আপলোড সময় : ১০-০৮-২০২৫ ০৯:৫৪:০১ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১০-০৮-২০২৫ ০৯:৫৪:০১ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ