
নিজস্ব প্রতিবেদক: ইন্টার মিলানের ড্রেসিংরুমে উত্তেজনা চরমে। ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর দলের অধিনায়ক লওতারো মার্তিনেস প্রকাশ্যে মুখ খুললেন—এবং তার কথার তীর বেশির ভাগের মতে গেছে হাকান চালহানওগলুর দিকে। ফলে দুজনের মধ্যে তৈরি হয়েছে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব, যা সাময়িকভাবে কিছুটা প্রশমিত হয়েছে একটি ফোনালাপের মাধ্যমে। তবে গালাতাসারাই এই সুযোগে চালহানওগলুকে দলে টানতে চালিয়ে যাচ্ছে তৎপরতা।
কীভাবে শুরু হলো দ্বন্দ্ব?
সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ক্লাব বিশ্বকাপে ইন্টার মিলান প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। হতাশাজনক বিদায়ের পর লওতারো মার্তিনেস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “যারা যেতে চায়, তারা যেন চলে যায়।”
এই কথাটি ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই ধরে নেয়া হয়, বিশেষ করে এমন সময় যখন হাকান চালহানওগলুর গালাতাসারাইয়ে যাওয়ার গুঞ্জন চলছে জোরেশোরে।
চালহানওগলু পাল্টা জবাব দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি লেখেন, “সম্মান সব সময় একমুখী হয় না।” একইসঙ্গে লওতারোর বক্তব্যকে “বিভাজন সৃষ্টিকারী” বলেও আখ্যা দেন তিনি।
ফোনালাপে ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাখ্যা
উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে দুজন অবশেষে ফোনে কথা বলেন। Gazzetta dello Sport জানায়, সম্পর্ক পুরোপুরি মিটে না গেলেও উভয় পক্ষ নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন এবং সামনের মৌসুমের আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একমত হয়েছেন।
ক্লাবের কর্মকর্তারা মনে করেন, এই ধরনের বিষয় গণমাধ্যমে না তুলে অভ্যন্তরীণভাবে সমাধান করাই ভালো হতো। দলের ভেতরে ঐক্য বজায় রাখা এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
গালাতাসারাইয়ের নজর এবং ইন্টারের অবস্থান
এই সংকটময় অবস্থায় তুরস্কের জায়ান্ট ক্লাব গালাতাসারাই চালহানওগলুকে দলে নিতে বেশ সক্রিয়। খেলোয়াড়ের এজেন্টের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে তারা।
ইন্টার শুরুতে ৪০ মিলিয়ন ইউরো দাবি করলেও, এখন সেই মূল্য কমিয়ে ৩০ মিলিয়নের আশেপাশে নামিয়ে এনেছে। যদিও চালহানওগলু আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাব ছাড়ার অনুরোধ করেননি, তবে নিজের অবস্থানও পরিষ্কার করেননি।
ইন্টারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
যদি গালাতাসারাই চালহানওগলুর জন্য প্রস্তাব দেয় এবং ট্রান্সফার সম্পন্ন হয়, তাহলে ইন্টার তার পরিবর্তে নতুন মিডফিল্ডার ও ফরোয়ার্ড খুঁজতে পারে। আতালান্তার ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার এডারসন তাদের প্রাথমিক তালিকায় রয়েছেন।
ইন্টার মিলানের এই দ্বন্দ্ব এবং ট্রান্সফার পরিস্থিতি প্রমাণ করে, মাঠের বাইরে দলীয় ঐক্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। মৌসুম শুরুর আগেই যদি অভ্যন্তরীণ সমন্বয় না ঘটে, তাহলে ভবিষ্যতে এর প্রভাব পড়তে পারে দলের পারফরম্যান্সেও।
মো: রাজিব আলী/
কীভাবে শুরু হলো দ্বন্দ্ব?
সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ক্লাব বিশ্বকাপে ইন্টার মিলান প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। হতাশাজনক বিদায়ের পর লওতারো মার্তিনেস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “যারা যেতে চায়, তারা যেন চলে যায়।”
এই কথাটি ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই ধরে নেয়া হয়, বিশেষ করে এমন সময় যখন হাকান চালহানওগলুর গালাতাসারাইয়ে যাওয়ার গুঞ্জন চলছে জোরেশোরে।
চালহানওগলু পাল্টা জবাব দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি লেখেন, “সম্মান সব সময় একমুখী হয় না।” একইসঙ্গে লওতারোর বক্তব্যকে “বিভাজন সৃষ্টিকারী” বলেও আখ্যা দেন তিনি।
ফোনালাপে ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাখ্যা
উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে দুজন অবশেষে ফোনে কথা বলেন। Gazzetta dello Sport জানায়, সম্পর্ক পুরোপুরি মিটে না গেলেও উভয় পক্ষ নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন এবং সামনের মৌসুমের আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একমত হয়েছেন।
ক্লাবের কর্মকর্তারা মনে করেন, এই ধরনের বিষয় গণমাধ্যমে না তুলে অভ্যন্তরীণভাবে সমাধান করাই ভালো হতো। দলের ভেতরে ঐক্য বজায় রাখা এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
গালাতাসারাইয়ের নজর এবং ইন্টারের অবস্থান
এই সংকটময় অবস্থায় তুরস্কের জায়ান্ট ক্লাব গালাতাসারাই চালহানওগলুকে দলে নিতে বেশ সক্রিয়। খেলোয়াড়ের এজেন্টের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে তারা।
ইন্টার শুরুতে ৪০ মিলিয়ন ইউরো দাবি করলেও, এখন সেই মূল্য কমিয়ে ৩০ মিলিয়নের আশেপাশে নামিয়ে এনেছে। যদিও চালহানওগলু আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাব ছাড়ার অনুরোধ করেননি, তবে নিজের অবস্থানও পরিষ্কার করেননি।
ইন্টারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
যদি গালাতাসারাই চালহানওগলুর জন্য প্রস্তাব দেয় এবং ট্রান্সফার সম্পন্ন হয়, তাহলে ইন্টার তার পরিবর্তে নতুন মিডফিল্ডার ও ফরোয়ার্ড খুঁজতে পারে। আতালান্তার ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার এডারসন তাদের প্রাথমিক তালিকায় রয়েছেন।
ইন্টার মিলানের এই দ্বন্দ্ব এবং ট্রান্সফার পরিস্থিতি প্রমাণ করে, মাঠের বাইরে দলীয় ঐক্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। মৌসুম শুরুর আগেই যদি অভ্যন্তরীণ সমন্বয় না ঘটে, তাহলে ভবিষ্যতে এর প্রভাব পড়তে পারে দলের পারফরম্যান্সেও।
মো: রাজিব আলী/