​পূর্বাচলে প্লট কেলেঙ্কারি: হাসিনা-রেহানাসহ ১০০ জনের নামে গেজেট

আপলোড সময় : ০৬-০৭-২০২৫ ১১:০৩:৪৯ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৬-০৭-২০২৫ ১১:০৩:৪৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: পূর্বাচলে সরকারি প্লট বরাদ্দের এক 'গভীর কেলেঙ্কারিতে' দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ প্রভাবশালী ১০০ জনের নাম উঠে এসেছে। এই ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ছয়টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে হাজির হতে সরকারি গেজেট প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার।

ঢাকা মহানগরের সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব ৩ জুলাই এই গেজেটে স্বাক্ষর করেন, যা প্রকাশ করে বিজি প্রেস। গেজেটে সাফ জানানো হয়েছে—যেহেতু আসামিরা আত্মগোপনে আছেন এবং তাদের গ্রেফতারের সম্ভাবনা কম, সেহেতু ১৯৫৮ সালের ক্রিমিনাল ল’ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টের ৬(১৩) ধারা অনুযায়ী আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে হাজির হতে হবে। তা না হলে অনুপস্থিতিতেই শুরু হবে বিচার।

কী নিয়ে মামলা?

অভিযোগ, রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠা সরকারি জমি প্রভাব খাটিয়ে নিজেরা নিজেদের নামে বরাদ্দ নিয়েছেন আসামিরা। একটি-দুটি নয়, মোট ছয়টি পৃথক মামলা—যার প্রত্যেকটি ঘিরেই রাজনীতির হাওয়া ভারী হয়ে উঠছে।

দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব মামলায় শুধু সাবেক প্রধানমন্ত্রীই নন, জড়িত রয়েছেন তার পরিবারের একাধিক সদস্য—শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ সিদ্দিক, পুতুল ও আজমিনা সিদ্দিক। মামলার আসামির তালিকায় জায়গা পেয়েছেন আরও অনেক প্রভাবশালী নাম।

মামলার পেছনের দিনপঞ্জি:

১২-১৪ জানুয়ারি: ছয়টি মামলা দায়ের করে দুদক।

১০ মার্চ: তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা।

১ জুলাই: গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারক।

৩ জুলাই: বিজি প্রেস থেকে গেজেট প্রকাশ।

২০ জুলাই: মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ।

কোন মামলায় কে কে?

উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিনের দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ শুরুতে ৮ জন, পরে ১২ জন।

এসএম রাশেদুল হাসানের মামলায় শেখ হাসিনা ও জয়সহ ১৭ জন।

শেখ রেহানাকে প্রধান আসামি করে মামলায় আসামি ১৭ জন।

আজমিনা সিদ্দিককে প্রধান করে মামলায় আসামি ১৮ জন।

রাদওয়ান মুজিব ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন।

পুতুল ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন; ১৬ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।

কী বলছেন দুদক প্রসিকিউটর?

দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, “আদালতের নির্দেশে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। নির্ধারিত তারিখে হাজির না হলে অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হবে।”

এক সময় যাদের সাক্ষাৎ পাওয়াই ছিল অসম্ভব, আজ তাদের নামেই জারি হয়েছে আদালতের গেজেট। এটি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়—যেখানে ক্ষমতার মসনদ থেকে আদালতের কাঠগড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। ২০ জুলাই, দেশের রাজনৈতিক ও আইনি ইতিহাসে হতে পারে এক নতুন মোড়ের দিন।

এম/আর/এ/

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক ও প্রকাশক : তরু শাহারিয়ার সর্গ
নির্বাহী সম্পাদক : চামেলী খাতুন
বার্তা সম্পাদক : মোঃ রবিউল ইসলাম

অফিস :

অফিস : পান্তপথ, ঢাকা, বাংলাদেশ-১২০৫
ইমেইল : jatiyopotrika@gmail.com
মোবাইল : 01786332137