
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা, ৬ জুলাই – “যখন ভোটের প্রতিটি কণারই গরিমা থাকবে, তখনই হবে প্রকৃত জনগণের সরকার,” বললেন জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। রোববার আশুরার পবিত্র দিনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি জানান, পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি হল সেই দৃষ্টান্ত, যা প্রতিটি ভোটারকে সম্মান দেয় এবং সকলের কণ্ঠস্বরকে সংসদে পৌঁছে দেয়।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “সর্বাধিক ভোট পাওয়া দলই এককভাবে ক্ষমতা দখল করে যায়—৪৯ শতাংশ ভোট পাওয়া মানুষের মুল্যায়ন হয় না। অথচ পিআর পদ্ধতিতে প্রতিটি ভোট গণ্য, এতে তৈরি হয় সবার অংশগ্রহণমূলক সরকার, যা এককদলীয় স্বৈরাচার বন্ধ করে ফ্যাসিবাদের জন্ম নেয় না।”
তিনি আরো সতর্ক করেন, ক্ষমতায় বসার ভয়ে কেউ কেউ পিআর পদ্ধতিকে এড়াতে চায়। কিন্তু সৎ উদ্দেশ্য থাকলে, পিআর পদ্ধতি সবার সম্মত হবে। তিনি বলেন, “দেশের মাটিতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করা ছাড়া বিকল্প নেই। যারা এসব নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, জনগণ তাদের মুখ চেনে।”
আশুরার শিক্ষা নিয়েও তিনি গরিমার সঙ্গে আলোচনা করেন। “খেলাফত প্রতিষ্ঠাই আসল শিক্ষা,” বললেন মুজিবুর রহমান, “ইসলাম না থাকলে জাতীয়তাবাদ থাকবে, আর জাতীয়তাবাদ থাকলে কখনো ইসলামের বিধান প্রতিষ্ঠিত হবে না। ইসলামে সকলের জন্য সমান বিচার; জাতীয়তাবাদে শুধু নিজের জাতিকে উন্নীত করতে গিয়ে অন্যদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়।”
সভাপতি নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “খেলাফত ব্যবস্থা স্বৈরাচার ও পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে জিহাদ। আমাদের ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুধু একদিনের নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী বৈষম্যহীন ও ন্যায়পরায়ণ বাংলাদেশ গঠনের সংকল্প।”
তিনি বলেন, “২০০৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত হয়রানি, খুন, গুমের বিচার প্রয়োজন, অন্যথায় কোনো শান্তি আসবে না। ১৫ বছরের শাসন আমলে মানুষের জীবন কারবালার মতো দিন কাটিয়েছে।”
জামায়াতে ইসলামী এই সময় বলেছে, “নির্বাচন আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিয়ে সংস্কার আনতে হবে। তারপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে পিআর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচন হলে সত্যিকারের সরকার গড়ে উঠবে।”
তবে বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনিবার্যভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করে মুজিবুর রহমান বলেন, “একটি দলের অবাধ ও নৈরাজ্যপূর্ণ কর্মকাণ্ড থানা থেকে অপরাধীদের মুক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতরে ভয় তৈরির মাধ্যমে দেশের শান্তি বিনষ্ট করছে।”
তবে শান্তিপ্রিয় রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কারে সহায়তা করছে বলে তিনি জানান, “নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে দলীয় স্বার্থের ওপর দাঁড়িয়ে সংস্কার নয়, জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করতে হবে।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্যগণ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান, মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীরা ও বিভিন্ন থানা ও মহানগরীর নেতারা।
এম,আর,এ/
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “সর্বাধিক ভোট পাওয়া দলই এককভাবে ক্ষমতা দখল করে যায়—৪৯ শতাংশ ভোট পাওয়া মানুষের মুল্যায়ন হয় না। অথচ পিআর পদ্ধতিতে প্রতিটি ভোট গণ্য, এতে তৈরি হয় সবার অংশগ্রহণমূলক সরকার, যা এককদলীয় স্বৈরাচার বন্ধ করে ফ্যাসিবাদের জন্ম নেয় না।”
তিনি আরো সতর্ক করেন, ক্ষমতায় বসার ভয়ে কেউ কেউ পিআর পদ্ধতিকে এড়াতে চায়। কিন্তু সৎ উদ্দেশ্য থাকলে, পিআর পদ্ধতি সবার সম্মত হবে। তিনি বলেন, “দেশের মাটিতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করা ছাড়া বিকল্প নেই। যারা এসব নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, জনগণ তাদের মুখ চেনে।”
আশুরার শিক্ষা নিয়েও তিনি গরিমার সঙ্গে আলোচনা করেন। “খেলাফত প্রতিষ্ঠাই আসল শিক্ষা,” বললেন মুজিবুর রহমান, “ইসলাম না থাকলে জাতীয়তাবাদ থাকবে, আর জাতীয়তাবাদ থাকলে কখনো ইসলামের বিধান প্রতিষ্ঠিত হবে না। ইসলামে সকলের জন্য সমান বিচার; জাতীয়তাবাদে শুধু নিজের জাতিকে উন্নীত করতে গিয়ে অন্যদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়।”
সভাপতি নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “খেলাফত ব্যবস্থা স্বৈরাচার ও পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে জিহাদ। আমাদের ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুধু একদিনের নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী বৈষম্যহীন ও ন্যায়পরায়ণ বাংলাদেশ গঠনের সংকল্প।”
তিনি বলেন, “২০০৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত হয়রানি, খুন, গুমের বিচার প্রয়োজন, অন্যথায় কোনো শান্তি আসবে না। ১৫ বছরের শাসন আমলে মানুষের জীবন কারবালার মতো দিন কাটিয়েছে।”
জামায়াতে ইসলামী এই সময় বলেছে, “নির্বাচন আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিয়ে সংস্কার আনতে হবে। তারপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে পিআর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচন হলে সত্যিকারের সরকার গড়ে উঠবে।”
তবে বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনিবার্যভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করে মুজিবুর রহমান বলেন, “একটি দলের অবাধ ও নৈরাজ্যপূর্ণ কর্মকাণ্ড থানা থেকে অপরাধীদের মুক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতরে ভয় তৈরির মাধ্যমে দেশের শান্তি বিনষ্ট করছে।”
তবে শান্তিপ্রিয় রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কারে সহায়তা করছে বলে তিনি জানান, “নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে দলীয় স্বার্থের ওপর দাঁড়িয়ে সংস্কার নয়, জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করতে হবে।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্যগণ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান, মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীরা ও বিভিন্ন থানা ও মহানগরীর নেতারা।
এম,আর,এ/