
নিজস্ব প্রতিবেদক: তেহরান, ৭ জুলাই – যুদ্ধের গর্জন থেমে গেলেও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের মনে এখনও শীতল হয়নি সেই ভয়াবহ জুন মাসের দিনগুলো। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি প্রকাশ করেছেন এমন এক কঠিন সত্য, যা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগের ছোঁয়া বহন করে—“হত্যা করার চেষ্টা করেছিল তারা, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।”
টাকার কার্লসনের সামনে মুখ খুলে পেজেশকিয়ান জানালেন, সংঘাত শুরু হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই তেহরানের অন্তরালে একটি জরুরি বৈঠকের সময় হঠাৎ বোমাবর্ষণ শুরু হয়, যেখানে তার উপস্থিতি ছিল। "সে হামলা যুক্তরাষ্ট্র থেকে হয়নি, বরং ছিল ইসরায়েলি বাহিনীর," বললেন তিনি।
ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে পরিচিত সেই ১২ দিনের অভিযানে ইরানের পরমাণু গবেষণার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শহর—ফার্দো, ইসফাহান ও নানতাজ বিস্ফোরণের অগ্নিগর্ভে পুড়ে যায়। শুধু তাই নয়, সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরিসহ একাধিক শীর্ষ কমান্ডার এবং পরমাণু বিজ্ঞানীও তখন গৃহীত হয় সেই মরণফাঁদে।
নেতানিয়াহুর কথায়, “ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির এক ধাপ দূরে,” তাই তাকে থামাতে হবে। কিন্তু পেজেশকিয়ানের প্রশ্ন— “আমরা কি আবার সেই আলোচনায় ফিরে যেতে পারব, যেখানে বিশ্বাস ছিল, কিন্তু এখন তা নেই?”
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করলেন, “আলোচনায় ফেরার ইচ্ছা আমাদের আছে, কিন্তু যদি ইসরায়েল আবার হামলা চালায়, তাহলে কী হবে?”
২৫ জুনের যুদ্ধবিরতি শান্তির দিগন্ত খুললেও ইরানের মনের গভীরে এখনও রয়ে গেছে ওই সেদিনের সেই আতঙ্ক এবং আস্থা-হীনতার ব্যথা।
এই সাক্ষাৎকার শুধু রাজনৈতিক একটি বিবৃতি নয়, বরং একটি জাতির জীবনের সুনির্দিষ্ট মুহূর্তের আক্ষেপ ও আশার গল্পও বটে।
এম.আর,এ/
টাকার কার্লসনের সামনে মুখ খুলে পেজেশকিয়ান জানালেন, সংঘাত শুরু হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই তেহরানের অন্তরালে একটি জরুরি বৈঠকের সময় হঠাৎ বোমাবর্ষণ শুরু হয়, যেখানে তার উপস্থিতি ছিল। "সে হামলা যুক্তরাষ্ট্র থেকে হয়নি, বরং ছিল ইসরায়েলি বাহিনীর," বললেন তিনি।
ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে পরিচিত সেই ১২ দিনের অভিযানে ইরানের পরমাণু গবেষণার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শহর—ফার্দো, ইসফাহান ও নানতাজ বিস্ফোরণের অগ্নিগর্ভে পুড়ে যায়। শুধু তাই নয়, সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরিসহ একাধিক শীর্ষ কমান্ডার এবং পরমাণু বিজ্ঞানীও তখন গৃহীত হয় সেই মরণফাঁদে।
নেতানিয়াহুর কথায়, “ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির এক ধাপ দূরে,” তাই তাকে থামাতে হবে। কিন্তু পেজেশকিয়ানের প্রশ্ন— “আমরা কি আবার সেই আলোচনায় ফিরে যেতে পারব, যেখানে বিশ্বাস ছিল, কিন্তু এখন তা নেই?”
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করলেন, “আলোচনায় ফেরার ইচ্ছা আমাদের আছে, কিন্তু যদি ইসরায়েল আবার হামলা চালায়, তাহলে কী হবে?”
২৫ জুনের যুদ্ধবিরতি শান্তির দিগন্ত খুললেও ইরানের মনের গভীরে এখনও রয়ে গেছে ওই সেদিনের সেই আতঙ্ক এবং আস্থা-হীনতার ব্যথা।
এই সাক্ষাৎকার শুধু রাজনৈতিক একটি বিবৃতি নয়, বরং একটি জাতির জীবনের সুনির্দিষ্ট মুহূর্তের আক্ষেপ ও আশার গল্পও বটে।
এম.আর,এ/