​গাজায় যুদ্ধবিরতি হলেও আবার যুদ্ধ হতে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

আপলোড সময় : ০৯-০৭-২০২৫ ১১:০৮:৪৫ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৯-০৭-২০২৫ ১১:০৮:৪৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যের রক্তাক্ত প্রান্তরে যেন এবার এক নতুন ভোরের ইঙ্গিত। দীর্ঘ মাসের ধ্বংস, আর্তনাদ আর ধূলিঝড়ের পর গাজা নিয়ে নতুন এক সমঝোতার পথে হাঁটছে বিশ্ব। আলোচনায় রয়েছে ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি। তবে এই বিরতি যেন আরেকটি যুদ্ধের বিরামচিহ্ন হয়ে না দাঁড়ায়—তা নিশ্চিত করতেই এবার শক্ত অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ওয়াশিংটন স্পষ্ট জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলেও গাজায় আর যুদ্ধ শুরুর সুযোগ পাবে না দখলদার ইসরায়েল। মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর ও কাতারকে এ বার্তা দিয়েছে তারা। যদিও চুক্তিতে ‘যুদ্ধ শুরুর একটি ধারা’ রাখা হবে—কিন্তু সেটি যেন বাস্তবতা না হয়, এটাই নিশ্চিত করতে চায় বাইডেন প্রশাসন।

সূত্র বলছে, যুদ্ধ শুরুর এই ধারা মূলত এক ধরনের চাপের কৌশল—যাতে হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা আরও গুরুত্ব সহকারে নেয়। কারণ হামাস যদি চুক্তির প্রতি আন্তরিক না হয়, তবে ইসরায়েলের হাতে ‘চুক্তিভিত্তিক’ যুদ্ধ শুরুর সুযোগ থাকছে। কিন্তু বাস্তবে যুক্তরাষ্ট্র সেই যুদ্ধ শুরু রুখে দিতে চায়, এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে তারা।

অন্যদিকে নেতানিয়াহুর হিসাব ভিন্ন। দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হুমকি দিয়েছেন, ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির মধ্যেই যদি হামাস অস্ত্র নামিয়ে না রাখে, গাজা না ছাড়ে এবং শাসন ক্ষমতা না ত্যাগ করে, তবে ফের আঘাতে ঝাঁপিয়ে পড়বে তার বাহিনী।

শুধু তাই নয়, গাজার মানুষদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনাও করছে ইসরায়েল। যেন ভূমিহীন আর স্বপ্নহীন করে তোলা যায় এক গোটা জাতিকে।

তবে এই ভয়, শর্ত আর হুমকির মাঝেই গোপনে আলো ছড়াচ্ছে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা। বিশ্লেষকদের মতে, এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি হতে পারে গাজার আকাশে এক আশার রেনু। যদিও পথটি সহজ নয়, আর আস্থার ঘাটতি এখনো প্রকট, তবুও এটিই হতে পারে স্থায়ী শান্তির এক ক্ষণিক সূচনা।

এখন প্রশ্ন একটাই—যুদ্ধ থামলেও আগুন কি নিভবে? গাজার ভবিষ্যৎ কি এবার সত্যিই নতুন গল্প বলবে?

জাকারিয়া ইসলাম/

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক ও প্রকাশক : তরু শাহারিয়ার সর্গ
নির্বাহী সম্পাদক : চামেলী খাতুন
বার্তা সম্পাদক : মোঃ রবিউল ইসলাম

অফিস :

অফিস : পান্তপথ, ঢাকা, বাংলাদেশ-১২০৫
ইমেইল : jatiyopotrika@gmail.com
মোবাইল : 01786332137