
নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের পৃথিবী বদলে গেছে। বাচ্চাদের হাতেই এখন স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, আর ল্যাপটপ। যেখানে এক ক্লিকেই হাজারো তথ্য, বন্ধু, বিনোদন। কিন্তু এই অনলাইন জগতের রঙিন পর্দার পেছনে লুকিয়ে থাকে অনেক ধরনের ঝুঁকি, যা ছোট্ট মনগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে।
সন্তানদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া যেন এক নতুন খেলার মাঠ। কিন্তু খেলার মাঠের মতো এটাও নিরাপদ রাখতে হয়। তাই বাবা-মায়ের দায়িত্ব শুধু “হ্যাঁ, বলো” নয়, বরং “সাবধান!”-এর আওয়াজ উচ্চারিত করা।
১. বন্ধুত্বের খোঁজ: শুধু ‘হ্যালো’ নয়, সতর্কতার ‘হ্যালো’
সোশ্যাল মিডিয়ায় কারো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পেলে আগ্রহে তাড়াহুড়ো করে গ্রহণ না করে ভালো করে ভাবতে হবে। কারও কথা ও পরিচয় সবসময় সত্যি নাও হতে পারে। অনলাইনে সুন্দর শব্দের আড়ালে থাকে অনেক ছলনা ও ফাঁদ। তাই সাবধানতার মাস্ক পরেই বন্ধুত্ব পাতানো উচিত।
২. ছবির জাদু: এক ক্লিকে স্মৃতি, এক ক্লিকে ঝুঁকি
একটি ছবি হাজার কথার মতো। কিন্তু সেই ছবি যখন ভুল জায়গায় বা ভুল সময়ে চলে যায়, তখন হতাশা ও দুঃখের শুরু। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করার আগে মনের দরজা দু’বার নাড়ুন, কারণ আজকের স্মৃতি কালকের লজ্জা হতে পারে।
৩. অদৃশ্য জাল: সাইবার বুলিং-এর ছায়া থেকে বাঁচতে হবে
অনলাইনের অজানা গলি গুলোতে লুকিয়ে থাকে কটু কথা, অপমান, উত্ত্যক্তি—যাকে বলে সাইবার বুলিং। এর হাত থেকে বাঁচার একটাই পথ, সচেতন থাকা এবং সাহসী হয়ে অবিলম্বে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলা।
৪. ‘তোমার কথা শুনছি’—অভিভাবকের বন্ধুত্ব
সন্তানরা যদি অনুভব করে, বাবা-মায়ের কাছে আসা মানেই নিরাপত্তা, তখন তারা নিজেদের সমস্যাগুলো গোপন রাখবে না। তাই বাবা-মায়ের উচিত নিজের ছেলেমেয়ের ভালো বন্ধু হওয়া, যাতে তারা যে কোনো দুঃখ-কষ্ট বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সহজেই খুলে বলতে পারে।
৫. ব্যক্তিগত তথ্য: অনলাইনে প্রকাশ নয়, নিরাপদ থাকাই শ্রেষ্ঠ
নিজের নাম, ঠিকানা, স্কুলের নাম বা পরিবারের তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ না করার শিক্ষা দিতে হবে সন্তানদের। একবার প্রকাশিত তথ্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, আর তা ব্যবহার করা হয় অনাকাঙ্ক্ষিত কাজে।
শেষে, বাবার-মায়ের কাছে ছোটদের একটুখানি দরকার — আপনার সময়, আপনার কথা, আর আপনার সতর্ক দৃষ্টি।
সোশ্যাল মিডিয়া এখন জীবনের একটি অংশ, কিন্তু এর সুরক্ষিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে শুরু থেকেই শিক্ষিত ও সচেতন হতে হবে। ছোটদের অনলাইন জীবন নিরাপদ করার জন্য প্রথম ধাপ হলো—সাথে থাকা, বোঝা এবং শেখানো।
ডিজিটাল দুনিয়ায় ভালো ও নিরাপদ চলার পথটি গড়তে হলে পরিবারের অভিজ্ঞতা ও ভালোবাসা হতে হবে সবচেয়ে বড় আলো!
মো: কামাল/
সন্তানদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া যেন এক নতুন খেলার মাঠ। কিন্তু খেলার মাঠের মতো এটাও নিরাপদ রাখতে হয়। তাই বাবা-মায়ের দায়িত্ব শুধু “হ্যাঁ, বলো” নয়, বরং “সাবধান!”-এর আওয়াজ উচ্চারিত করা।
১. বন্ধুত্বের খোঁজ: শুধু ‘হ্যালো’ নয়, সতর্কতার ‘হ্যালো’
সোশ্যাল মিডিয়ায় কারো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পেলে আগ্রহে তাড়াহুড়ো করে গ্রহণ না করে ভালো করে ভাবতে হবে। কারও কথা ও পরিচয় সবসময় সত্যি নাও হতে পারে। অনলাইনে সুন্দর শব্দের আড়ালে থাকে অনেক ছলনা ও ফাঁদ। তাই সাবধানতার মাস্ক পরেই বন্ধুত্ব পাতানো উচিত।
২. ছবির জাদু: এক ক্লিকে স্মৃতি, এক ক্লিকে ঝুঁকি
একটি ছবি হাজার কথার মতো। কিন্তু সেই ছবি যখন ভুল জায়গায় বা ভুল সময়ে চলে যায়, তখন হতাশা ও দুঃখের শুরু। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করার আগে মনের দরজা দু’বার নাড়ুন, কারণ আজকের স্মৃতি কালকের লজ্জা হতে পারে।
৩. অদৃশ্য জাল: সাইবার বুলিং-এর ছায়া থেকে বাঁচতে হবে
অনলাইনের অজানা গলি গুলোতে লুকিয়ে থাকে কটু কথা, অপমান, উত্ত্যক্তি—যাকে বলে সাইবার বুলিং। এর হাত থেকে বাঁচার একটাই পথ, সচেতন থাকা এবং সাহসী হয়ে অবিলম্বে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলা।
৪. ‘তোমার কথা শুনছি’—অভিভাবকের বন্ধুত্ব
সন্তানরা যদি অনুভব করে, বাবা-মায়ের কাছে আসা মানেই নিরাপত্তা, তখন তারা নিজেদের সমস্যাগুলো গোপন রাখবে না। তাই বাবা-মায়ের উচিত নিজের ছেলেমেয়ের ভালো বন্ধু হওয়া, যাতে তারা যে কোনো দুঃখ-কষ্ট বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সহজেই খুলে বলতে পারে।
৫. ব্যক্তিগত তথ্য: অনলাইনে প্রকাশ নয়, নিরাপদ থাকাই শ্রেষ্ঠ
নিজের নাম, ঠিকানা, স্কুলের নাম বা পরিবারের তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ না করার শিক্ষা দিতে হবে সন্তানদের। একবার প্রকাশিত তথ্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, আর তা ব্যবহার করা হয় অনাকাঙ্ক্ষিত কাজে।
শেষে, বাবার-মায়ের কাছে ছোটদের একটুখানি দরকার — আপনার সময়, আপনার কথা, আর আপনার সতর্ক দৃষ্টি।
সোশ্যাল মিডিয়া এখন জীবনের একটি অংশ, কিন্তু এর সুরক্ষিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে শুরু থেকেই শিক্ষিত ও সচেতন হতে হবে। ছোটদের অনলাইন জীবন নিরাপদ করার জন্য প্রথম ধাপ হলো—সাথে থাকা, বোঝা এবং শেখানো।
ডিজিটাল দুনিয়ায় ভালো ও নিরাপদ চলার পথটি গড়তে হলে পরিবারের অভিজ্ঞতা ও ভালোবাসা হতে হবে সবচেয়ে বড় আলো!
মো: কামাল/