
নিজস্ব প্রতিবেদক: একটা সময় ছিল, যখন পাকিস্তানে প্রযুক্তির সম্ভাবনার কথা বললেই প্রথম সারিতে থাকত মাইক্রোসফটের নাম। করাচি কিংবা ইসলামাবাদে তরুণ প্রোগ্রামাররা স্বপ্ন দেখতেন—একদিন হয়তো মাইক্রোসফটের পাকিস্তান অফিসে কাজ করবেন। সেই স্বপ্নে এবার চিরদিনের জন্য তালা পড়ল।
২৫ বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট। বিশ্বজুড়ে খরচ কমানোর নীতির অংশ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এর পেছনে আছে আরও গভীর বার্তা—পাকিস্তানের অস্থির ব্যবসায়িক পরিবেশ।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী ক্লাউড-ভিত্তিক, অংশীদার-নির্ভর মডেলে কাজ করার দিকে ঝুঁকছে মাইক্রোসফট। সেই কৌশল বাস্তবায়নের পথেই পাকিস্তান থেকে নিজেদের অফিস গুটিয়ে নিয়েছে তারা। তবে এ সিদ্ধান্ত এসেছে এক কঠিন বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে—২০২৩ সাল থেকে শুরু হওয়া বৈশ্বিক ছাঁটাইয়ের অংশ হিসেবে ৯ হাজার ১০০ কর্মী বাদ পড়ার পর এবার মাইক্রোসফট চোখ রাঙাচ্ছে সেইসব দেশে, যেখানকার বাজার অনিশ্চয়তায় ভরা।
মাইক্রোসফট পাকিস্তানের সাবেক কান্ট্রি ম্যানেজার জাওয়াদ রেহমান হতাশা প্রকাশ করে লিঙ্কডইনে লেখেন, “এদেশে প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ টিকে আছে নড়বড়ে ভিত্তির ওপর। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো একে আর নিরাপদ মনে করছে না।”
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, KPI-ভিত্তিক একটি শক্তিশালী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বিশ্বজুড়ে থাকা টেক জায়ান্টদের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে।
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিও। এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, “মাইক্রোসফটের এই প্রস্থান পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য এক অশনি সঙ্কেত।”
তিনি আরও দাবি করেন, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ মাইক্রোসফট পাকিস্তানে তাদের কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনায় ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি আর বিনিয়োগ-অনুপযোগী পরিবেশের কারণে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়। বিকল্প হিসেবে তারা বেছে নেয় ভিয়েতনামকে—যেখানে স্থিতিশীলতা আছে, আছে প্রবৃদ্ধির নিশ্চয়তাও।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রস্থান শুধু একটি অফিস বন্ধ হওয়ার ঘটনা নয়। এটি একটি সতর্কবার্তা—যদি এখনই ব্যবসায়িক পরিবেশে পরিবর্তন না আনা হয়, তবে অন্যান্য আন্তর্জাতিক কোম্পানিও তাদের ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের ঠিকানা পাল্টে ফেলবে।
এক সময় যেখান থেকে প্রযুক্তির আলো ছড়ানোর আশা ছিল, আজ সেখানে অন্ধকারের ছায়া। মাইক্রোসফট চলে গেছে—এবার হয়তো ভাবনার পালা পাকিস্তানের।
মো: কামাল/
২৫ বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট। বিশ্বজুড়ে খরচ কমানোর নীতির অংশ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এর পেছনে আছে আরও গভীর বার্তা—পাকিস্তানের অস্থির ব্যবসায়িক পরিবেশ।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী ক্লাউড-ভিত্তিক, অংশীদার-নির্ভর মডেলে কাজ করার দিকে ঝুঁকছে মাইক্রোসফট। সেই কৌশল বাস্তবায়নের পথেই পাকিস্তান থেকে নিজেদের অফিস গুটিয়ে নিয়েছে তারা। তবে এ সিদ্ধান্ত এসেছে এক কঠিন বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে—২০২৩ সাল থেকে শুরু হওয়া বৈশ্বিক ছাঁটাইয়ের অংশ হিসেবে ৯ হাজার ১০০ কর্মী বাদ পড়ার পর এবার মাইক্রোসফট চোখ রাঙাচ্ছে সেইসব দেশে, যেখানকার বাজার অনিশ্চয়তায় ভরা।
মাইক্রোসফট পাকিস্তানের সাবেক কান্ট্রি ম্যানেজার জাওয়াদ রেহমান হতাশা প্রকাশ করে লিঙ্কডইনে লেখেন, “এদেশে প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ টিকে আছে নড়বড়ে ভিত্তির ওপর। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো একে আর নিরাপদ মনে করছে না।”
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, KPI-ভিত্তিক একটি শক্তিশালী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বিশ্বজুড়ে থাকা টেক জায়ান্টদের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে।
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিও। এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, “মাইক্রোসফটের এই প্রস্থান পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য এক অশনি সঙ্কেত।”
তিনি আরও দাবি করেন, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ মাইক্রোসফট পাকিস্তানে তাদের কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনায় ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি আর বিনিয়োগ-অনুপযোগী পরিবেশের কারণে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়। বিকল্প হিসেবে তারা বেছে নেয় ভিয়েতনামকে—যেখানে স্থিতিশীলতা আছে, আছে প্রবৃদ্ধির নিশ্চয়তাও।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রস্থান শুধু একটি অফিস বন্ধ হওয়ার ঘটনা নয়। এটি একটি সতর্কবার্তা—যদি এখনই ব্যবসায়িক পরিবেশে পরিবর্তন না আনা হয়, তবে অন্যান্য আন্তর্জাতিক কোম্পানিও তাদের ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের ঠিকানা পাল্টে ফেলবে।
এক সময় যেখান থেকে প্রযুক্তির আলো ছড়ানোর আশা ছিল, আজ সেখানে অন্ধকারের ছায়া। মাইক্রোসফট চলে গেছে—এবার হয়তো ভাবনার পালা পাকিস্তানের।
মো: কামাল/