
নিজস্ব প্রতিবেদক: শীতকালে বা যেকোনো ঋতুতেই মোজা পরা একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। তবে স্টাইলের জন্য বা অন্য কোনো কারণে অনেকেই মোজা ছাড়া জুতা পরেন, যা পায়ের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, মোজা ছাড়াই জুতা পরলে পায়ের ত্বকে বিভিন্ন সংক্রমণসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মোজা না পরলে পায়ের ত্বকে ফাঙ্গাল ইনফেকশন বা ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। জুতার ভিতরে জমে থাকা ঘাম ও আর্দ্রতা ছত্রাকের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে, যা পায়ে চুলকানি, র্যাশ ও ত্বক ফাটার মতো সমস্যার জন্ম দেয়। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের জন্য এসব সংক্রমণ আরও ঝুঁকিপূর্ণ কারণ তাদের পায়ের ক্ষত দ্রুত শুকায় না এবং সংক্রমণ গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
আরো একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ফোস্কা পড়া। নতুন জুতা পরে মোজা না পরলে পায়ের ত্বকে ঘষার কারণে ফোস্কা পড়ার আশঙ্কা থাকে। মোজা পরলে পায়ের ত্বক সুরক্ষিত থাকে এবং দীর্ঘ সময় হাঁটাহাঁটির পরও আরামদায়ক থাকে।
মোজা না পরলে পায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার প্রবণতাও বাড়ে। কারণ, পায়ে প্রচুর ঘাম হয় যা মোজা শোষণ করে পা শুষ্ক রাখে। মোজা ছাড়া জুতা পরলে ঘাম জমে জুতার ভেতরে আর্দ্রতা তৈরি হয়, যা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের জন্ম দেয় এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
অন্যদিকে মোজা ছাড়া জুতা পরলে জুতা দ্রুত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পায়ের ঘাম ও তেলের কারণে জুতার ইনসোল ও আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে জুতার আয়ু কমে যায়।
এছাড়া, মোজা পরলে হাঁটাচলায় আরাম এবং পায়ের ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়। মোজা ছাড়া জুতা পরলে হাঁটার সময় অস্বস্তি ও আঘাতের সম্ভাবনা থাকে। ধুলোবালি থেকে পায়ে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে, এমনকি অ্যালার্জিরও আশঙ্কা থাকে।
বিশেষজ্ঞরা সবসময় পরামর্শ দেন, গরম বা শীতকালে মোজা পরা উচিত এবং নরম সুতির মোজা ব্যবহার করা উত্তম, যাতে পায়ের ত্বকে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। পায়ে কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
অতএব, সুস্থ পায়ের জন্য মোজা ছাড়া জুতা পরার অভ্যাস বন্ধ করে নিয়মিত মোজা পরার দিকে মনোযোগ দিন। এতে পায়ের স্বাস্থ্য বজায় থাকবে এবং জুতাও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
শাহনাজ সোহা/
বিশেষজ্ঞদের মতে, মোজা না পরলে পায়ের ত্বকে ফাঙ্গাল ইনফেকশন বা ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। জুতার ভিতরে জমে থাকা ঘাম ও আর্দ্রতা ছত্রাকের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে, যা পায়ে চুলকানি, র্যাশ ও ত্বক ফাটার মতো সমস্যার জন্ম দেয়। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের জন্য এসব সংক্রমণ আরও ঝুঁকিপূর্ণ কারণ তাদের পায়ের ক্ষত দ্রুত শুকায় না এবং সংক্রমণ গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
আরো একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ফোস্কা পড়া। নতুন জুতা পরে মোজা না পরলে পায়ের ত্বকে ঘষার কারণে ফোস্কা পড়ার আশঙ্কা থাকে। মোজা পরলে পায়ের ত্বক সুরক্ষিত থাকে এবং দীর্ঘ সময় হাঁটাহাঁটির পরও আরামদায়ক থাকে।
মোজা না পরলে পায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার প্রবণতাও বাড়ে। কারণ, পায়ে প্রচুর ঘাম হয় যা মোজা শোষণ করে পা শুষ্ক রাখে। মোজা ছাড়া জুতা পরলে ঘাম জমে জুতার ভেতরে আর্দ্রতা তৈরি হয়, যা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের জন্ম দেয় এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
অন্যদিকে মোজা ছাড়া জুতা পরলে জুতা দ্রুত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পায়ের ঘাম ও তেলের কারণে জুতার ইনসোল ও আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে জুতার আয়ু কমে যায়।
এছাড়া, মোজা পরলে হাঁটাচলায় আরাম এবং পায়ের ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়। মোজা ছাড়া জুতা পরলে হাঁটার সময় অস্বস্তি ও আঘাতের সম্ভাবনা থাকে। ধুলোবালি থেকে পায়ে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে, এমনকি অ্যালার্জিরও আশঙ্কা থাকে।
বিশেষজ্ঞরা সবসময় পরামর্শ দেন, গরম বা শীতকালে মোজা পরা উচিত এবং নরম সুতির মোজা ব্যবহার করা উত্তম, যাতে পায়ের ত্বকে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। পায়ে কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
অতএব, সুস্থ পায়ের জন্য মোজা ছাড়া জুতা পরার অভ্যাস বন্ধ করে নিয়মিত মোজা পরার দিকে মনোযোগ দিন। এতে পায়ের স্বাস্থ্য বজায় থাকবে এবং জুতাও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
শাহনাজ সোহা/