
মিরপুরে গড়াবে উত্তেজনার লড়াই, শুরু ২০ জুলাই
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ক্রিকেটে যখনই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লেখা হয়, তখন তার পেছনে থাকে কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত—কখনো নতুন মুখে ভরসা, আবার কখনো সাফল্যবান্ধব ধারাবাহিকতায় আস্থা। এবারের পাকিস্তান সিরিজে ঠিক এমন এক আস্থার গল্পই শোনাচ্ছে বিসিবি। সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কা সফরের জয়ী স্কোয়াডকেই অপরিবর্তিত রেখে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা করেছে তারা।
২০ জুলাই শুরু হতে যাওয়া এই সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৬ সদস্যের স্কোয়াডে নেই কোনো নতুন চমক কিংবা বাদ পড়ার আক্ষেপ। কারণ খুবই সহজ—শ্রীলঙ্কার মাটিতে টাইগাররা যেভাবে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতে ফিরেছে, তাতে সেই দলটির প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখাটাই ছিল সবচেয়ে যৌক্তিক ও কৌশলী পদক্ষেপ।
আস্থা যেখানে পুরস্কৃত হয়
শ্রীলঙ্কা সিরিজ ছিল যেন টাইগারদের জন্য আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার এক উজ্জ্বল ব্যাটন। তানজিদ ও নাইমের উদ্বোধনী জুটি, লিটনের দায়িত্বশীল ব্যাটিং, হৃদয় ও জাকেরের গতি বদলে খেলা, শামিমের জ্বলে ওঠা—সব মিলিয়ে ব্যাটিং ইউনিট ছিল গোছানো ও কার্যকর।
অন্যদিকে, রিশাদ হোসেনের লেগ স্পিন যেন এক নতুন বার্তা দিয়েছিল—বাংলাদেশ এখন বৈচিত্র্যময় বোলিংয়েও সমৃদ্ধ। তাসকিন-মোস্তাফিজ-শরিফুলদের পেস আক্রমণ এবং শেখ মেহেদী-মিরাজ-নাসুমদের স্পিন যুগলবন্দিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
এই দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়ই যেন নিজেদের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন সামর্থ্যের পাকা ছাপে। তাই পাকিস্তানের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এই দল নিয়েই নামছে বাংলাদেশ।
সময়ের সূচিতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই
প্রথম টি-টোয়েন্টি: ২০ জুলাই
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: ২২ জুলাই
তৃতীয় টি-টোয়েন্টি: ২৪ জুলাই
সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার হোম অব ক্রিকেট, মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
এ মাঠেই গড়াবে আত্মবিশ্বাসের নতুন অধ্যায়।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড:
লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, মোহাম্মদ নাইম শেখ, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামিম হোসেন পাটোয়ারী, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
বিশ্বকাপের আগে আরেকটি মঞ্চ
এই সিরিজের গুরুত্ব শুধু পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়েই সীমাবদ্ধ নয়। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই সিরিজ তাই হয়ে উঠতে পারে সেই বড় মঞ্চের মহড়ার মতো। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পাশাপাশি সেরা কম্বিনেশন খুঁজে পাওয়ার সুযোগও এখানে থাকছে।
সিরিজটা জয় দিয়ে শুরু হলে দল যেমন আত্মবিশ্বাসে ভাসবে, তেমনি প্রতিপক্ষের চোখেও থাকবে একধরনের সতর্কতার বার্তা—বাংলাদেশ এখন আর আগের বাংলাদেশ নেই।
জাহিদ/