
নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাজিলিয়ান সিরি আ-এর উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচে ঘরের মাঠেও ভাগ্য সহায় হলো না সান্তোস এফসির। বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা ২-১ ব্যবধানে পরাজিত হয় স্পোর্ট ক্লাব ইন্টারন্যাসিওনালের কাছে। ম্যাচের শুরুতে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়া সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরানোর আশায় লড়াই চালায় সান্তোস, কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হেসেছে ইন্টারন্যাসিওনাল। এই হারের ফলে সান্তোসের অবস্থান আরও সংকটে পড়েছে এবং দলটি এখন অবনমন অঞ্চলেই অবস্থান করছে।
ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো
ম্যাচের শুরু থেকেই ইন্টারন্যাসিওনাল বেশ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে নামে। এর ফলস্বরূপ ম্যাচের মাত্র নবম মিনিটেই জোহান কার্বোনেরো একটি দুর্দান্ত গোল করে দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। এই গোলের পর সান্তোস বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ম্যাচে আরও গতি বাড়ায় দুই দল। কিন্তু ৭৫ মিনিটে সান্তোসের রক্ষণভাগের ভুলে ইন্টারন্যাসিওনাল পেনাল্টি লাভ করে এবং কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল সান্তোস বোর্রে নির্ভুল শটে ব্যবধান ২-০ করেন। সান্তোস তখন চাপে পড়ে যায়, কিন্তু খেলায় ফিরে আসার প্রচেষ্টা থেমে থাকেনি।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে, অর্থাৎ ৯০+১ মিনিটে, আলভারো বারিয়েল একটি অসাধারণ গোল করে ব্যবধান কমান। কিন্তু ততক্ষণে সময় ফুরিয়ে আসায় আর সমতা ফেরানো সম্ভব হয়নি। ফলে ২-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইন্টারন্যাসিওনাল।
দুই দলের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ
পরিসংখ্যান বলছে, বল দখলে, পাসিং এবং আক্রমণে সান্তোস ছিল অনেক বেশি প্রভাবশালী।
বল দখল: সান্তোস ৬৫ শতাংশ, ইন্টারন্যাসিওনাল ৩৫ শতাংশ
শট: সান্তোস নিয়েছে ২১টি শট, যার মধ্যে ৭টি ছিল লক্ষ্যে। ইন্টারন্যাসিওনাল শট নিয়েছে ১১টি, যার ৪টি ছিল লক্ষ্যে।
পাস সংখ্যা ও নির্ভুলতা: সান্তোস ৫২০টি পাস দিয়েছে ৮৮% সঠিকতায়, যেখানে ইন্টারন্যাসিওনাল দিয়েছে ২৮৫টি পাস ৭৪% নির্ভুলতায়।
ফাউল: সান্তোস ১৭টি ফাউল করেছে, আর ইন্টারন্যাসিওনাল ১২টি।
এই পরিসংখ্যান দেখে সহজেই বোঝা যায়, সান্তোস মাঠে ভালো খেলে, কিন্তু রক্ষণভাগের দুর্বলতা ও শেষ মুহূর্তের গোল খেয়ে ম্যাচটি হাতছাড়া করে।
পয়েন্ট তালিকায় বর্তমান অবস্থা
এই পরাজয়ের ফলে সান্তোস ১৫ ম্যাচে মাত্র ১৪ পয়েন্ট অর্জন করেছে এবং এখন লিগ টেবিলের ১৭তম স্থানে রয়েছে, যা অবনমন অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। দলটির শেষ পাঁচ ম্যাচের ফলাফল: হার, জয়, জয়, হার, হার। এরকম অনিয়মিত পারফরম্যান্স তাদের স্থায়ী সমস্যার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
অন্যদিকে, ইন্টারন্যাসিওনাল এই জয়ের মাধ্যমে ১৫ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে ১০ম স্থানে উঠে এসেছে এবং কনমেবল সুদামেরিকানা গ্রুপ পর্বে খেলার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের শেষ পাঁচ ম্যাচের রেকর্ড বেশ ইতিবাচক: হার, হার, জয়, জয়, জয়। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে তারা সহজেই আরও উপরের দিকে উঠতে পারবে।
বিশ্লেষণ: কোথায় পিছিয়ে পড়ছে সান্তোস?
সান্তোস ফুটবলে ঐতিহ্যবাহী একটি ক্লাব হলেও চলতি মৌসুমে তারা নিজেদের পরিচিত ছন্দ খুঁজে পাচ্ছে না। বল দখল, পাসিং এবং আক্রমণে দলটি প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও ফলাফল তাদের পক্ষে আসছে না। বিশেষ করে রক্ষণভাগ ও ফিনিশিং-এর দুর্বলতা তাদের ভোগাচ্ছে। ম্যাচের শেষ দিকে গোল খেয়ে হেরে যাওয়ার ঘটনাও এই মৌসুমে একাধিকবার ঘটেছে, যা মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে কোচ এবং খেলোয়াড়দের উপর।
আগামী পথ
সান্তোসের সামনে এখন আরও কঠিন কিছু ম্যাচ অপেক্ষা করছে। যদি তারা রক্ষণভাগ মজবুত করতে না পারে এবং ফিনিশিং উন্নত না করে, তাহলে দলটির অবনমন হওয়াটা কেবল সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। ব্রাজিলের ফুটবলে প্রতিযোগিতা অত্যন্ত কঠিন, তাই প্রতি ম্যাচে পয়েন্ট হারানো মানেই চাপ আরও বাড়ানো।
অপরদিকে, ইন্টারন্যাসিওনাল এখন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লিগের পরবর্তী পর্যায়ে এগিয়ে যেতে পারবে। তারা যদি এই জয়ের ধারা বজায় রাখতে পারে, তাহলে শীর্ষ ছয়ে পৌঁছেও যেতে পারে।
আল-মামুন/
ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো
ম্যাচের শুরু থেকেই ইন্টারন্যাসিওনাল বেশ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে নামে। এর ফলস্বরূপ ম্যাচের মাত্র নবম মিনিটেই জোহান কার্বোনেরো একটি দুর্দান্ত গোল করে দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। এই গোলের পর সান্তোস বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ম্যাচে আরও গতি বাড়ায় দুই দল। কিন্তু ৭৫ মিনিটে সান্তোসের রক্ষণভাগের ভুলে ইন্টারন্যাসিওনাল পেনাল্টি লাভ করে এবং কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল সান্তোস বোর্রে নির্ভুল শটে ব্যবধান ২-০ করেন। সান্তোস তখন চাপে পড়ে যায়, কিন্তু খেলায় ফিরে আসার প্রচেষ্টা থেমে থাকেনি।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে, অর্থাৎ ৯০+১ মিনিটে, আলভারো বারিয়েল একটি অসাধারণ গোল করে ব্যবধান কমান। কিন্তু ততক্ষণে সময় ফুরিয়ে আসায় আর সমতা ফেরানো সম্ভব হয়নি। ফলে ২-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইন্টারন্যাসিওনাল।
দুই দলের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ
পরিসংখ্যান বলছে, বল দখলে, পাসিং এবং আক্রমণে সান্তোস ছিল অনেক বেশি প্রভাবশালী।
বল দখল: সান্তোস ৬৫ শতাংশ, ইন্টারন্যাসিওনাল ৩৫ শতাংশ
শট: সান্তোস নিয়েছে ২১টি শট, যার মধ্যে ৭টি ছিল লক্ষ্যে। ইন্টারন্যাসিওনাল শট নিয়েছে ১১টি, যার ৪টি ছিল লক্ষ্যে।
পাস সংখ্যা ও নির্ভুলতা: সান্তোস ৫২০টি পাস দিয়েছে ৮৮% সঠিকতায়, যেখানে ইন্টারন্যাসিওনাল দিয়েছে ২৮৫টি পাস ৭৪% নির্ভুলতায়।
ফাউল: সান্তোস ১৭টি ফাউল করেছে, আর ইন্টারন্যাসিওনাল ১২টি।
এই পরিসংখ্যান দেখে সহজেই বোঝা যায়, সান্তোস মাঠে ভালো খেলে, কিন্তু রক্ষণভাগের দুর্বলতা ও শেষ মুহূর্তের গোল খেয়ে ম্যাচটি হাতছাড়া করে।
পয়েন্ট তালিকায় বর্তমান অবস্থা
এই পরাজয়ের ফলে সান্তোস ১৫ ম্যাচে মাত্র ১৪ পয়েন্ট অর্জন করেছে এবং এখন লিগ টেবিলের ১৭তম স্থানে রয়েছে, যা অবনমন অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। দলটির শেষ পাঁচ ম্যাচের ফলাফল: হার, জয়, জয়, হার, হার। এরকম অনিয়মিত পারফরম্যান্স তাদের স্থায়ী সমস্যার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
অন্যদিকে, ইন্টারন্যাসিওনাল এই জয়ের মাধ্যমে ১৫ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে ১০ম স্থানে উঠে এসেছে এবং কনমেবল সুদামেরিকানা গ্রুপ পর্বে খেলার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের শেষ পাঁচ ম্যাচের রেকর্ড বেশ ইতিবাচক: হার, হার, জয়, জয়, জয়। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে তারা সহজেই আরও উপরের দিকে উঠতে পারবে।
বিশ্লেষণ: কোথায় পিছিয়ে পড়ছে সান্তোস?
সান্তোস ফুটবলে ঐতিহ্যবাহী একটি ক্লাব হলেও চলতি মৌসুমে তারা নিজেদের পরিচিত ছন্দ খুঁজে পাচ্ছে না। বল দখল, পাসিং এবং আক্রমণে দলটি প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও ফলাফল তাদের পক্ষে আসছে না। বিশেষ করে রক্ষণভাগ ও ফিনিশিং-এর দুর্বলতা তাদের ভোগাচ্ছে। ম্যাচের শেষ দিকে গোল খেয়ে হেরে যাওয়ার ঘটনাও এই মৌসুমে একাধিকবার ঘটেছে, যা মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে কোচ এবং খেলোয়াড়দের উপর।
আগামী পথ
সান্তোসের সামনে এখন আরও কঠিন কিছু ম্যাচ অপেক্ষা করছে। যদি তারা রক্ষণভাগ মজবুত করতে না পারে এবং ফিনিশিং উন্নত না করে, তাহলে দলটির অবনমন হওয়াটা কেবল সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। ব্রাজিলের ফুটবলে প্রতিযোগিতা অত্যন্ত কঠিন, তাই প্রতি ম্যাচে পয়েন্ট হারানো মানেই চাপ আরও বাড়ানো।
অপরদিকে, ইন্টারন্যাসিওনাল এখন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লিগের পরবর্তী পর্যায়ে এগিয়ে যেতে পারবে। তারা যদি এই জয়ের ধারা বজায় রাখতে পারে, তাহলে শীর্ষ ছয়ে পৌঁছেও যেতে পারে।
আল-মামুন/