
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য আসছে নতুন বেতন কাঠামো। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার পর অবশেষে তাদের বেতন-ভাতা পুনর্নির্ধারণে সরকার গঠন করেছে নতুন পে কমিশন। সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে এ কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, “সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান নতুন গঠিত বেতন কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কমিশনকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাদের সুপারিশমালা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
বর্তমানে দেশে ২০১৫ সালে ঘোষিত পে স্কেল অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। তবে গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে তাদের প্রকৃত আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এই বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সরকার বিদ্যমান বেতন কাঠামোর পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১৫ সালের পে স্কেলে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারিত ছিল ৮,২৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭৮,০০০ টাকা। কিন্তু সময়ের সাথে এই কাঠামো অনেকটাই বাস্তবতাবিবর্জিত হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে নতুন কমিশনের মাধ্যমে একটি সময়োপযোগী, ব্যালান্সড ও অর্থনৈতিকভাবে টেকসই বেতন কাঠামো প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নতুন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে তা শুধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সাহায্য করবে না, বরং প্রশাসনিক দক্ষতাও বাড়াবে। পাশাপাশি এই পদক্ষেপ সরকারি চাকরিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
এখন অপেক্ষা— আগামী ছয় মাসের মধ্যে কমিশনের জমা দেওয়া সুপারিশে কী থাকছে, এবং সরকার তা কতটা দ্রুত বাস্তবায়ন করে।
আল-মামুন/
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, “সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান নতুন গঠিত বেতন কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কমিশনকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাদের সুপারিশমালা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
বর্তমানে দেশে ২০১৫ সালে ঘোষিত পে স্কেল অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। তবে গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে তাদের প্রকৃত আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এই বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সরকার বিদ্যমান বেতন কাঠামোর পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১৫ সালের পে স্কেলে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারিত ছিল ৮,২৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭৮,০০০ টাকা। কিন্তু সময়ের সাথে এই কাঠামো অনেকটাই বাস্তবতাবিবর্জিত হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে নতুন কমিশনের মাধ্যমে একটি সময়োপযোগী, ব্যালান্সড ও অর্থনৈতিকভাবে টেকসই বেতন কাঠামো প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নতুন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে তা শুধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সাহায্য করবে না, বরং প্রশাসনিক দক্ষতাও বাড়াবে। পাশাপাশি এই পদক্ষেপ সরকারি চাকরিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
এখন অপেক্ষা— আগামী ছয় মাসের মধ্যে কমিশনের জমা দেওয়া সুপারিশে কী থাকছে, এবং সরকার তা কতটা দ্রুত বাস্তবায়ন করে।
আল-মামুন/