
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার একটি শান্ত আবাসিক এলাকায় স্কুল ছুটির ঘণ্টা মাত্র বেজেছে, তখনই একটি বিস্ফোরণ কেঁপে দিয়েছে চারপাশ। আকাশ থেকে ঝরে পড়ল আগুন, আর সঙ্গে গড়াগড়ি শব্দে বিধ্বস্ত হলো একটি প্রশিক্ষণ ফাইটার বিমান। সেই মুহূর্তে চোখে পড়ে গেল এক শিশুর হাতের লেখা খাতা — “আমি বড় হয়ে পাইলট হব।” কল্পনার উড়ান ত্যাগ করে স্বপ্নগুলো যেন জমে গেল এক ঝটকায়।
কিন্তু এই দুর্ঘটনা শুধু একটি ঘটনা নয়; এটি এক দীর্ঘ সময়ের গোপন দুর্নীতির মুখোশ খুলে দেয়। যেখানে লুকিয়ে আছে কোটি কোটি টাকার অব্যবস্থা, রাজনৈতিক ও সামরিক শত্রুতা আর নীরব ফটিকছড়ির মতো জটিল একটি কাহিনী।
তিমিরের আড়ালে বাজেটের লুটপাট
সরকারের দাবি—নতুন প্রশিক্ষণ বিমান কেনার বাজেট নেই। অথচ প্রতি ঘণ্টার ট্রেনিংয়ে খরচ হয় কোটি টাকার মতো। কেমনে হয় এই বিস্ময়? সাবেক মেজর জিয়াউল হকের তথ্য মতে, এক এক যুদ্ধবিমান কেনার পিছনে লুকিয়ে আছে কমিশনের ভয়ানক খেলা, যেখানে ৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত লুটপাট চলে টেন্ডারের নামে।
বিকৃত টেন্ডার প্রক্রিয়া: যুদ্ধের বদলে লুটের যুদ্ধ
১৯৯৯ সালে রাশিয়া থেকে আটটি MiG-29 বিমান কেনার সময় অভিযোগ ওঠে, যন্ত্রাংশগুলো ছিল নিম্নমানের ও নষ্ট। চীনের কাছ থেকে কেনা F-7 বিমানগুলোর দাম বেড়ে যায় দ্বিগুণেরও বেশি, যেখানে প্রায় ৯ মিলিয়ন ডলারের হিসাবই পাওয়া যায় না। বেচাবিক্রির আড়ালে লুকিয়ে আছে কোটি কোটি টাকা, যা দিয়ে ভেঙে যায় একটি জাতির আস্থা।
‘ফিট টু ফ্লাই’ সনদের দাম কত?
একটি বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে পাওয়া যায়, যন্ত্রপাতি ত্রুটির পরও ঘুষ দিয়ে ‘ফিট টু ফ্লাই’ সনদ দেয়া হয়। এই সনদ এক জীবনের নিরাপত্তা নয়, বরং মৃত্যুর এক কালো টোকেন। যেখানে একজন পাইলটের জীবন চলে আসে একটি টেবিলের নিচে মোড়ানো দুর্নীতির নথির তলায়।
স্বপ্ন থেকে সত্য: ক্ষয়িষ্ণু এক বাস্তবতা
একটি শিশুর খাতায় লেখা স্বপ্ন আজ রয়ে গেল একটি বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসস্তূপে। তার স্বপ্নগুলো চাপা পড়েছে নোংরা লেনদেন, কমিশন ও মিথ্যার জালে। এই দুর্নীতি আর অবহেলা আজ শুধু বিমানের নয়, জাতির আকাশেরও পতনের কারণ।
প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার পেছনে লুকানো এই মহা চাঞ্চল্যকর সত্য একদিন দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নজরে আসতেই হবে। না হলে স্বপ্ন বাঁচানো ও জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। দুর্নীতি নির্মূল ছাড়া এই ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ অসম্ভব।
আজকের পতিত সেই স্বপ্নগুলো, আগামী দিনের বাংলাদেশের আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন। কবে আবার সেই আকাশ মুক্ত হবে এই মায়াজাল থেকে—সে প্রশ্নের উত্তর এখন সময়ের হাতে।
আল-মামুন/
কিন্তু এই দুর্ঘটনা শুধু একটি ঘটনা নয়; এটি এক দীর্ঘ সময়ের গোপন দুর্নীতির মুখোশ খুলে দেয়। যেখানে লুকিয়ে আছে কোটি কোটি টাকার অব্যবস্থা, রাজনৈতিক ও সামরিক শত্রুতা আর নীরব ফটিকছড়ির মতো জটিল একটি কাহিনী।
তিমিরের আড়ালে বাজেটের লুটপাট
সরকারের দাবি—নতুন প্রশিক্ষণ বিমান কেনার বাজেট নেই। অথচ প্রতি ঘণ্টার ট্রেনিংয়ে খরচ হয় কোটি টাকার মতো। কেমনে হয় এই বিস্ময়? সাবেক মেজর জিয়াউল হকের তথ্য মতে, এক এক যুদ্ধবিমান কেনার পিছনে লুকিয়ে আছে কমিশনের ভয়ানক খেলা, যেখানে ৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত লুটপাট চলে টেন্ডারের নামে।
বিকৃত টেন্ডার প্রক্রিয়া: যুদ্ধের বদলে লুটের যুদ্ধ
১৯৯৯ সালে রাশিয়া থেকে আটটি MiG-29 বিমান কেনার সময় অভিযোগ ওঠে, যন্ত্রাংশগুলো ছিল নিম্নমানের ও নষ্ট। চীনের কাছ থেকে কেনা F-7 বিমানগুলোর দাম বেড়ে যায় দ্বিগুণেরও বেশি, যেখানে প্রায় ৯ মিলিয়ন ডলারের হিসাবই পাওয়া যায় না। বেচাবিক্রির আড়ালে লুকিয়ে আছে কোটি কোটি টাকা, যা দিয়ে ভেঙে যায় একটি জাতির আস্থা।
‘ফিট টু ফ্লাই’ সনদের দাম কত?
একটি বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে পাওয়া যায়, যন্ত্রপাতি ত্রুটির পরও ঘুষ দিয়ে ‘ফিট টু ফ্লাই’ সনদ দেয়া হয়। এই সনদ এক জীবনের নিরাপত্তা নয়, বরং মৃত্যুর এক কালো টোকেন। যেখানে একজন পাইলটের জীবন চলে আসে একটি টেবিলের নিচে মোড়ানো দুর্নীতির নথির তলায়।
স্বপ্ন থেকে সত্য: ক্ষয়িষ্ণু এক বাস্তবতা
একটি শিশুর খাতায় লেখা স্বপ্ন আজ রয়ে গেল একটি বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসস্তূপে। তার স্বপ্নগুলো চাপা পড়েছে নোংরা লেনদেন, কমিশন ও মিথ্যার জালে। এই দুর্নীতি আর অবহেলা আজ শুধু বিমানের নয়, জাতির আকাশেরও পতনের কারণ।
প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার পেছনে লুকানো এই মহা চাঞ্চল্যকর সত্য একদিন দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নজরে আসতেই হবে। না হলে স্বপ্ন বাঁচানো ও জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। দুর্নীতি নির্মূল ছাড়া এই ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ অসম্ভব।
আজকের পতিত সেই স্বপ্নগুলো, আগামী দিনের বাংলাদেশের আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন। কবে আবার সেই আকাশ মুক্ত হবে এই মায়াজাল থেকে—সে প্রশ্নের উত্তর এখন সময়ের হাতে।
আল-মামুন/