
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় দুই ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি ও জর্দি আলবা এবার পড়েছেন এমএলএসের নিয়মের ফাঁদে। অলস্টার ম্যাচে অনুপস্থিতির জের ধরে আসন্ন লিগ ম্যাচে নিষিদ্ধ হয়েছেন ইন্টার মায়ামির এই দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ক্লাবটির কর্তৃপক্ষ।
ইন্টার মায়ামির জন্য এটি একপ্রকার অপ্রত্যাশিত ধাক্কাই বলা চলে। ক্লাবের দুই শীর্ষ খেলোয়াড়কে ছাড়াই এবার মাঠে নামতে হচ্ছে।
অলস্টার ম্যাচ থেকে বিরতি, আর তাই নিষেধাজ্ঞা
গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয় এমএলএস ও মেক্সিকান লিগা এমএক্স-এর মধ্যকার বার্ষিক অলস্টার ম্যাচ। যেখানে লিওনেল মেসি ও জর্দি আলবার নাম থাকলেও শেষ পর্যন্ত তারা অংশ নেননি। যদিও তাদের শরীরিক কোনো চোট ছিল না, ক্লাবের সিদ্ধান্তে বিশ্রামে ছিলেন তারা।
তবে এমএলএসের নিয়ম বলছে, অলস্টার দলে নাম থাকা কোনো খেলোয়াড় যদি চোট ছাড়া ম্যাচ না খেলেন, তাহলে পরবর্তী একটি লিগ ম্যাচে নিষিদ্ধ হতে হবে তাকে। সেই নিয়মেই নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন মেসি ও আলবা।
ফলে ইন্টার মায়ামির পরবর্তী ম্যাচে এফসি সিনাসিনাতির বিপক্ষে মাঠে দেখা যাবে না এই দুই অভিজ্ঞ ফুটবলারকে।
ক্লাব মালিকের ক্ষোভ: “এটা অবিচার”
মেসি ও আলবার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে স্পষ্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইন্টার মায়ামির সহ-মালিক জর্জ মাস। তিনি বলেন,
"মেসি ও আলবা এই সিদ্ধান্ত বুঝে উঠতে পারছে না। ওরা হতাশ, আমরাও। এটা একটা প্রদর্শনী ম্যাচ, এবং এর জন্য লিগের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করা অন্যায়।"
তিনি আরও বলেন,
"খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দরকার ছিল, সেটাই আমরা চেয়েছি। তারা ক্লাবের নির্দেশেই খেলেনি। অথচ এখন লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাদের ছাড়া নামতে হচ্ছে, যা আমাদের জন্য হতাশার।"
টানা খেলা, ক্লান্তি—এরই মধ্যে বিশ্রামের সিদ্ধান্ত
২০২৫ সালের শুরুর দিক থেকেই মেসি ও আলবা ক্লাব বিশ্বকাপসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন। টানা সাত ম্যাচে মাঠে নামা এই দুই খেলোয়াড়ের শারীরিক ক্লান্তি নিয়ে সম্প্রতি ফুটবল মহলে আলোচনা ছিল তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতিতে অলস্টার ম্যাচে তাদের বিশ্রাম দেওয়াটাই ছিল বাস্তবসম্মত।
ক্লাবের অভ্যন্তরেও সিদ্ধান্তটি যৌথভাবে নেওয়া হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছেন মালিক জর্জ মাস। কিন্তু এমএলএসের কাঠামোগত নিয়মের কারণে তা অগ্রাহ্য হয়ে যায়।
ডন গারবারের প্রতিক্রিয়া: “মেসিকে শ্রদ্ধা করি, তবে নিয়ম মানতেই হবে”
এমএলএস কমিশনার ডন গারবার অবশ্য এই বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন,
"আমি জানি, মেসি এই লিগকে অনেক ভালোবাসে এবং তার অবদান অসামান্য। কিন্তু আমাদের নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। অলস্টার ম্যাচ নিয়ে নীতিমালা বহুদিনের এবং সবার জন্য এক। আমাদের তা মানতেই হয়।"
ফুটবলারদের স্বাস্থ্য ও ফিক্সচার নিয়ে প্রশ্ন
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে ফুটবলারদের বিশ্রাম ও ম্যাচ ফিক্সচারের ভারসাম্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। ক্লাবটির দাবি, অলস্টার ম্যাচের মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এমএলএসে ছয়টি ম্যাচ ছিল, যা খেলোয়াড়দের জন্য অনৈতিক চাপ তৈরি করে।
জর্জ মাস বলেন,
"এই সূচি একেবারেই খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যের পরিপন্থী। এভাবে ম্যাচ দিয়ে দিলে তারা কিভাবে সেরা পারফরম্যান্স দেবে? আমরা এ নিয়ে লিগ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।"
সমর্থকদের হতাশা ও ম্যাচের অপেক্ষা
মেসি-আলবার অনুপস্থিতিতে ইন্টার মায়ামির ভক্তদের মাঝেও হতাশা বিরাজ করছে। দলটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়দের না পাওয়া অবশ্যই একটি বড় ক্ষতি। তবে মায়ামির কোচিং স্টাফ বিকল্প কৌশল সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আল-মামুন/
ইন্টার মায়ামির জন্য এটি একপ্রকার অপ্রত্যাশিত ধাক্কাই বলা চলে। ক্লাবের দুই শীর্ষ খেলোয়াড়কে ছাড়াই এবার মাঠে নামতে হচ্ছে।
অলস্টার ম্যাচ থেকে বিরতি, আর তাই নিষেধাজ্ঞা
গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয় এমএলএস ও মেক্সিকান লিগা এমএক্স-এর মধ্যকার বার্ষিক অলস্টার ম্যাচ। যেখানে লিওনেল মেসি ও জর্দি আলবার নাম থাকলেও শেষ পর্যন্ত তারা অংশ নেননি। যদিও তাদের শরীরিক কোনো চোট ছিল না, ক্লাবের সিদ্ধান্তে বিশ্রামে ছিলেন তারা।
তবে এমএলএসের নিয়ম বলছে, অলস্টার দলে নাম থাকা কোনো খেলোয়াড় যদি চোট ছাড়া ম্যাচ না খেলেন, তাহলে পরবর্তী একটি লিগ ম্যাচে নিষিদ্ধ হতে হবে তাকে। সেই নিয়মেই নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন মেসি ও আলবা।
ফলে ইন্টার মায়ামির পরবর্তী ম্যাচে এফসি সিনাসিনাতির বিপক্ষে মাঠে দেখা যাবে না এই দুই অভিজ্ঞ ফুটবলারকে।
ক্লাব মালিকের ক্ষোভ: “এটা অবিচার”
মেসি ও আলবার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে স্পষ্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইন্টার মায়ামির সহ-মালিক জর্জ মাস। তিনি বলেন,
"মেসি ও আলবা এই সিদ্ধান্ত বুঝে উঠতে পারছে না। ওরা হতাশ, আমরাও। এটা একটা প্রদর্শনী ম্যাচ, এবং এর জন্য লিগের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করা অন্যায়।"
তিনি আরও বলেন,
"খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দরকার ছিল, সেটাই আমরা চেয়েছি। তারা ক্লাবের নির্দেশেই খেলেনি। অথচ এখন লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাদের ছাড়া নামতে হচ্ছে, যা আমাদের জন্য হতাশার।"
টানা খেলা, ক্লান্তি—এরই মধ্যে বিশ্রামের সিদ্ধান্ত
২০২৫ সালের শুরুর দিক থেকেই মেসি ও আলবা ক্লাব বিশ্বকাপসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন। টানা সাত ম্যাচে মাঠে নামা এই দুই খেলোয়াড়ের শারীরিক ক্লান্তি নিয়ে সম্প্রতি ফুটবল মহলে আলোচনা ছিল তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতিতে অলস্টার ম্যাচে তাদের বিশ্রাম দেওয়াটাই ছিল বাস্তবসম্মত।
ক্লাবের অভ্যন্তরেও সিদ্ধান্তটি যৌথভাবে নেওয়া হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছেন মালিক জর্জ মাস। কিন্তু এমএলএসের কাঠামোগত নিয়মের কারণে তা অগ্রাহ্য হয়ে যায়।
ডন গারবারের প্রতিক্রিয়া: “মেসিকে শ্রদ্ধা করি, তবে নিয়ম মানতেই হবে”
এমএলএস কমিশনার ডন গারবার অবশ্য এই বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন,
"আমি জানি, মেসি এই লিগকে অনেক ভালোবাসে এবং তার অবদান অসামান্য। কিন্তু আমাদের নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। অলস্টার ম্যাচ নিয়ে নীতিমালা বহুদিনের এবং সবার জন্য এক। আমাদের তা মানতেই হয়।"
ফুটবলারদের স্বাস্থ্য ও ফিক্সচার নিয়ে প্রশ্ন
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে ফুটবলারদের বিশ্রাম ও ম্যাচ ফিক্সচারের ভারসাম্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। ক্লাবটির দাবি, অলস্টার ম্যাচের মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এমএলএসে ছয়টি ম্যাচ ছিল, যা খেলোয়াড়দের জন্য অনৈতিক চাপ তৈরি করে।
জর্জ মাস বলেন,
"এই সূচি একেবারেই খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যের পরিপন্থী। এভাবে ম্যাচ দিয়ে দিলে তারা কিভাবে সেরা পারফরম্যান্স দেবে? আমরা এ নিয়ে লিগ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।"
সমর্থকদের হতাশা ও ম্যাচের অপেক্ষা
মেসি-আলবার অনুপস্থিতিতে ইন্টার মায়ামির ভক্তদের মাঝেও হতাশা বিরাজ করছে। দলটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়দের না পাওয়া অবশ্যই একটি বড় ক্ষতি। তবে মায়ামির কোচিং স্টাফ বিকল্প কৌশল সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আল-মামুন/