
নিজস্ব প্রতিবেদক: এশিয়া কাপ ২০২৫ ঘিরে ক্রিকেটপাড়ায় শুরু হয়েছে নতুন উত্তেজনা। টুর্নামেন্ট যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে বাংলাদেশ দলের স্কোয়াড নিয়ে জল্পনা-কল্পনা। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও বিভিন্ন সূত্রের তথ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠছে—চলতি আসরে দেখা যেতে পারে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন।
সবচেয়ে আলোচিত দুটি নাম—নাইম শেখ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকেই এবার স্কোয়াডের বাইরে রাখার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাদের জায়গায় জায়গা করে নিতে পারেন দুই নতুন মুখ—নুরুল হাসান সোহান ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
ছেঁটে ফেলা হচ্ছে 'পুরনো চাল'?
গত কয়েক বছর ধরেই ওপেনিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগছেন নাইম শেখ। সাম্প্রতিক সময়ে তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে নির্বাচকদের। এদিকে লিটন দাসও ওপেনিংয়ে ব্যাকআপ হিসেবে বিবেচনায় আছেন। এই প্রেক্ষাপটে চারজন ওপেনার রাখার চিন্তা থেকে সরে এসে নাইমকে বাদ দেওয়াটা বাস্তব সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে, অফস্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজের অবস্থানও এখন আর নিশ্চিত নয়। ব্যাট হাতে মাঝারি পারফরম্যান্স এবং বোলিংয়েও গত কিছু ম্যাচে ছিলেন নিষ্প্রভ। বিশেষ করে ব্যাটিং ইউনিটে নতুন আক্রমণাত্মক চরিত্র গঠনের পরিকল্পনায় মিরাজের জায়গায় নতুন কাউকে জায়গা করে দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
দলে নতুন আশা—সোহান ও অঙ্কন
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান ফের আলোচনায়। ঘরোয়া ক্রিকেট ও সাম্প্রতিক গ্লোবাল লিগে ধারাবাহিকভাবে ভালো করার পুরস্কার হিসেবেই তার ফেরার পথ সুগম হচ্ছে। উইকেটের পেছনে দক্ষতা এবং ব্যাট হাতে প্রয়োজনীয় সময়টায় অবদান রাখার ক্ষমতা টিম ম্যানেজমেন্টকে আবারও তার দিকে তাকাতে বাধ্য করেছে।
একইসঙ্গে উঠে এসেছেন আরেক তরুণ—মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ব্যাট হাতে তাঁর আগ্রাসী মনোভাব এবং ফিনিশিং সামর্থ্য মুগ্ধ করেছে নির্বাচকদের। মিডল অর্ডারে দ্রুত রান তোলার সামর্থ্য, স্ট্রাইক রেটের ধারাবাহিক উন্নতি—সবকিছু মিলিয়ে অঙ্কনকে এবার স্কোয়াডে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের।
পেস-স্পিন বিভাগে স্থিতিশীলতা
বোলিং ইউনিটে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। স্পিন বিভাগে থাকছেন নাসুম আহমেদ, রিশাদ হোসেন এবং শেখ মেহেদী হাসান। আর পেস আক্রমণে তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন—পুরনো পরীক্ষিত মুখদেরই দেখা যাবে বলে বোর্ডের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে।
পরিবর্তনের উদ্দেশ্য—ভারসাম্যপূর্ণ স্কোয়াড গঠন
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এখনো চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা না করলেও, অভ্যন্তরীণভাবে চলছে গভীর পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ। অতিরিক্ত ওপেনার না রেখে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং শক্তি বাড়ানোই এবার মূল লক্ষ্য। সেই দিক থেকে সোহান ও অঙ্কনের অন্তর্ভুক্তি যেমন ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ, তেমনি বর্তমান পরিস্থিতিতে এক বাস্তব পদক্ষেপ।
সম্ভাব্য স্কোয়াড:
তানজিদ হাসান তামিম
পারভেজ হোসেন ইমন
লিটন কুমার দাস
মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন
শামীম হোসেন পাটোয়ারি
জাকের আলি অনিক
নুরুল হাসান সোহান
নাসুম আহমেদ
রিশাদ হোসেন
শেখ মেহেদী হাসান
তাসকিন আহমেদ
মুস্তাফিজুর রহমান
শরীফুল ইসলাম
তানজিম হাসান সাকিব
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন
এশিয়া কাপ ২০২৫-এর মতো প্রতিযোগিতামূলক আসরে আত্মবিশ্বাসী ও ভারসাম্যপূর্ণ দল গঠনের লক্ষ্যে যেকোনো সময় বিসিবি স্কোয়াড ঘোষণা করতে পারে। তবে যতদূর বোঝা যাচ্ছে, এই ঘোষণায় থাকছে কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত, যা ভবিষ্যতের বাংলাদেশ দলকেই আরও শক্তিশালী করতে পারে।
আল-মামুন/
সবচেয়ে আলোচিত দুটি নাম—নাইম শেখ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকেই এবার স্কোয়াডের বাইরে রাখার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাদের জায়গায় জায়গা করে নিতে পারেন দুই নতুন মুখ—নুরুল হাসান সোহান ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
ছেঁটে ফেলা হচ্ছে 'পুরনো চাল'?
গত কয়েক বছর ধরেই ওপেনিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগছেন নাইম শেখ। সাম্প্রতিক সময়ে তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে নির্বাচকদের। এদিকে লিটন দাসও ওপেনিংয়ে ব্যাকআপ হিসেবে বিবেচনায় আছেন। এই প্রেক্ষাপটে চারজন ওপেনার রাখার চিন্তা থেকে সরে এসে নাইমকে বাদ দেওয়াটা বাস্তব সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে, অফস্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজের অবস্থানও এখন আর নিশ্চিত নয়। ব্যাট হাতে মাঝারি পারফরম্যান্স এবং বোলিংয়েও গত কিছু ম্যাচে ছিলেন নিষ্প্রভ। বিশেষ করে ব্যাটিং ইউনিটে নতুন আক্রমণাত্মক চরিত্র গঠনের পরিকল্পনায় মিরাজের জায়গায় নতুন কাউকে জায়গা করে দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
দলে নতুন আশা—সোহান ও অঙ্কন
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান ফের আলোচনায়। ঘরোয়া ক্রিকেট ও সাম্প্রতিক গ্লোবাল লিগে ধারাবাহিকভাবে ভালো করার পুরস্কার হিসেবেই তার ফেরার পথ সুগম হচ্ছে। উইকেটের পেছনে দক্ষতা এবং ব্যাট হাতে প্রয়োজনীয় সময়টায় অবদান রাখার ক্ষমতা টিম ম্যানেজমেন্টকে আবারও তার দিকে তাকাতে বাধ্য করেছে।
একইসঙ্গে উঠে এসেছেন আরেক তরুণ—মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ব্যাট হাতে তাঁর আগ্রাসী মনোভাব এবং ফিনিশিং সামর্থ্য মুগ্ধ করেছে নির্বাচকদের। মিডল অর্ডারে দ্রুত রান তোলার সামর্থ্য, স্ট্রাইক রেটের ধারাবাহিক উন্নতি—সবকিছু মিলিয়ে অঙ্কনকে এবার স্কোয়াডে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের।
পেস-স্পিন বিভাগে স্থিতিশীলতা
বোলিং ইউনিটে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। স্পিন বিভাগে থাকছেন নাসুম আহমেদ, রিশাদ হোসেন এবং শেখ মেহেদী হাসান। আর পেস আক্রমণে তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন—পুরনো পরীক্ষিত মুখদেরই দেখা যাবে বলে বোর্ডের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে।
পরিবর্তনের উদ্দেশ্য—ভারসাম্যপূর্ণ স্কোয়াড গঠন
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এখনো চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা না করলেও, অভ্যন্তরীণভাবে চলছে গভীর পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ। অতিরিক্ত ওপেনার না রেখে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং শক্তি বাড়ানোই এবার মূল লক্ষ্য। সেই দিক থেকে সোহান ও অঙ্কনের অন্তর্ভুক্তি যেমন ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ, তেমনি বর্তমান পরিস্থিতিতে এক বাস্তব পদক্ষেপ।
সম্ভাব্য স্কোয়াড:
তানজিদ হাসান তামিম
পারভেজ হোসেন ইমন
লিটন কুমার দাস
মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন
শামীম হোসেন পাটোয়ারি
জাকের আলি অনিক
নুরুল হাসান সোহান
নাসুম আহমেদ
রিশাদ হোসেন
শেখ মেহেদী হাসান
তাসকিন আহমেদ
মুস্তাফিজুর রহমান
শরীফুল ইসলাম
তানজিম হাসান সাকিব
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন
এশিয়া কাপ ২০২৫-এর মতো প্রতিযোগিতামূলক আসরে আত্মবিশ্বাসী ও ভারসাম্যপূর্ণ দল গঠনের লক্ষ্যে যেকোনো সময় বিসিবি স্কোয়াড ঘোষণা করতে পারে। তবে যতদূর বোঝা যাচ্ছে, এই ঘোষণায় থাকছে কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত, যা ভবিষ্যতের বাংলাদেশ দলকেই আরও শক্তিশালী করতে পারে।
আল-মামুন/