
নিজস্ব প্রতিবেদক: ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কয়েকটি ব্যাংক ও বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্ট কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে আয়, ক্যাশ ফ্লো এবং নিট সম্পদ মূল্যের নিরিখে কোম্পানিগুলোর আর্থিক কার্যক্রমের বর্তমান চিত্র উঠে এসেছে। নিচে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য তুলে ধরা হলো:
পূবালী ব্যাংক লিমিটেড
ব্যাংকটি জানায়, ২০২৫ সালের জানুয়ারি-জুন সময়কালে তাদের সমন্বিত ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৪.৪৪ টাকা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩.৩২ টাকা।
এই সময়ে প্রতি শেয়ার ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ৩৮.৫৪ টাকা, যা বিগত বছরের ৩৮.৩৮ টাকা থেকে সামান্য বেশি।
প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৪.১৭ টাকা (৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত)।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক
২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় কমে হয়েছে ০.৪৩ টাকা, আগের বছর যা ছিল ১.৫০ টাকা।
ছয় মাসে সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২.৪৭ টাকা, যা আগের বছরের ২.৫৯ টাকার তুলনায় সামান্য কম।
তবে ক্যাশ ফ্লো বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.৩৩ টাকা, আগের বছরের ১২.৪৮ টাকার তুলনায় যা ইতিবাচক।
প্রতি শেয়ারে নিট সম্পদ মূল্য হয়েছে ২২.৩৩ টাকা।
সিকদার ইন্স্যুরেন্স
২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস কমে হয়েছে ০.১৪ টাকা, আগের বছর ছিল ০.২২ টাকা।
জানুয়ারি-জুন সময়ে ইপিএস হয়েছে ০.৩৫ টাকা, যেখানে গত বছর ছিল ০.৪৪ টাকা।
তবে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে প্রতি শেয়ার ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ০.৩৪ টাকা, যেখানে আগের বছর ছিল মাত্র ০.০২ টাকা।
প্রতি শেয়ার নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০.০৮ টাকা।
ইসলামী ইন্স্যুরেন্স
প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস দ্বিতীয় প্রান্তিকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৭৮ টাকা, আগের বছর যা ছিল ০.৭৩ টাকা।
ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১.৫৮ টাকা, আগের বছরের তুলনায় যা কিছুটা বেশি (১.৪৫ টাকা)।
প্রতি শেয়ার ক্যাশ ফ্লো ১.০৬ টাকায় পৌঁছেছে, আগের বছর ছিল ০.৩২ টাকা।
এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৪.২১ টাকা।
পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স
২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ০.৪৫ টাকা, আগের বছরের ০.৪৮ টাকার তুলনায় সামান্য কম।
ছয় মাসের ইপিএস হয়েছে ০.৭৮ টাকা, যেখানে আগের বছর ছিল ০.৯০ টাকা।
প্রতি শেয়ার ক্যাশ ফ্লো বেড়ে হয়েছে ০.৭০ টাকা, আগের বছর ছিল ০.৫৪ টাকা।
৩০ জুন, ২০২৫ অনুযায়ী নিট সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৪.৭৯ টাকা।
বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ)
চামড়া খাতের এই বহুজাতিক কোম্পানিটি দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতি শেয়ারে লোকসান দেখিয়েছে ৭.০৫ টাকা, যেখানে আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৩.৭৩ টাকা।
৬ মাসের ইপিএস: ১৯.৮৭ টাকা (২০২৪: ২৭.১৬ টাকা)
ক্যাশ ফ্লো: ২৯.৩৫ টাকা (২০২৪: ১১.৫০ টাকা)
NAV: ২২৯.৬০ টাকা
এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ (এক্সিম ব্যাংক)
ব্যাংকটির ইপিএস উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।
৬ মাসের ইপিএস: ০.১৩ টাকা (২০২৪: ১.১৪ টাকা)
ক্যাশ ফ্লো: -১২.৭১ টাকা (২০২৪: ০.০৫ টাকা)
NAV: ২১.৮৪ টাকা
উপস্থাপিত তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পূবালী ব্যাংক ও ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের আয় ও সম্পদ মূল্য বৃদ্ধির ধারা বজায় রয়েছে। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও সিকদার ইন্স্যুরেন্সের আয় কিছুটা কমলেও ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে। পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের পারফরম্যান্স তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল।
এই প্রতিবেদন বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানিগুলোর আর্থিক কার্যক্রম বিশ্লেষণে সহায়ক হতে পারে এবং বাজারের গতিপথ সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে।
মো: জাহিদ/
পূবালী ব্যাংক লিমিটেড
ব্যাংকটি জানায়, ২০২৫ সালের জানুয়ারি-জুন সময়কালে তাদের সমন্বিত ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৪.৪৪ টাকা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩.৩২ টাকা।
এই সময়ে প্রতি শেয়ার ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ৩৮.৫৪ টাকা, যা বিগত বছরের ৩৮.৩৮ টাকা থেকে সামান্য বেশি।
প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৪.১৭ টাকা (৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত)।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক
২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় কমে হয়েছে ০.৪৩ টাকা, আগের বছর যা ছিল ১.৫০ টাকা।
ছয় মাসে সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২.৪৭ টাকা, যা আগের বছরের ২.৫৯ টাকার তুলনায় সামান্য কম।
তবে ক্যাশ ফ্লো বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.৩৩ টাকা, আগের বছরের ১২.৪৮ টাকার তুলনায় যা ইতিবাচক।
প্রতি শেয়ারে নিট সম্পদ মূল্য হয়েছে ২২.৩৩ টাকা।
সিকদার ইন্স্যুরেন্স
২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস কমে হয়েছে ০.১৪ টাকা, আগের বছর ছিল ০.২২ টাকা।
জানুয়ারি-জুন সময়ে ইপিএস হয়েছে ০.৩৫ টাকা, যেখানে গত বছর ছিল ০.৪৪ টাকা।
তবে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে প্রতি শেয়ার ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ০.৩৪ টাকা, যেখানে আগের বছর ছিল মাত্র ০.০২ টাকা।
প্রতি শেয়ার নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০.০৮ টাকা।
ইসলামী ইন্স্যুরেন্স
প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস দ্বিতীয় প্রান্তিকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৭৮ টাকা, আগের বছর যা ছিল ০.৭৩ টাকা।
ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১.৫৮ টাকা, আগের বছরের তুলনায় যা কিছুটা বেশি (১.৪৫ টাকা)।
প্রতি শেয়ার ক্যাশ ফ্লো ১.০৬ টাকায় পৌঁছেছে, আগের বছর ছিল ০.৩২ টাকা।
এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৪.২১ টাকা।
পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স
২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ০.৪৫ টাকা, আগের বছরের ০.৪৮ টাকার তুলনায় সামান্য কম।
ছয় মাসের ইপিএস হয়েছে ০.৭৮ টাকা, যেখানে আগের বছর ছিল ০.৯০ টাকা।
প্রতি শেয়ার ক্যাশ ফ্লো বেড়ে হয়েছে ০.৭০ টাকা, আগের বছর ছিল ০.৫৪ টাকা।
৩০ জুন, ২০২৫ অনুযায়ী নিট সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৪.৭৯ টাকা।
বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ)
চামড়া খাতের এই বহুজাতিক কোম্পানিটি দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতি শেয়ারে লোকসান দেখিয়েছে ৭.০৫ টাকা, যেখানে আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৩.৭৩ টাকা।
৬ মাসের ইপিএস: ১৯.৮৭ টাকা (২০২৪: ২৭.১৬ টাকা)
ক্যাশ ফ্লো: ২৯.৩৫ টাকা (২০২৪: ১১.৫০ টাকা)
NAV: ২২৯.৬০ টাকা
এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ (এক্সিম ব্যাংক)
ব্যাংকটির ইপিএস উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।
৬ মাসের ইপিএস: ০.১৩ টাকা (২০২৪: ১.১৪ টাকা)
ক্যাশ ফ্লো: -১২.৭১ টাকা (২০২৪: ০.০৫ টাকা)
NAV: ২১.৮৪ টাকা
উপস্থাপিত তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পূবালী ব্যাংক ও ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের আয় ও সম্পদ মূল্য বৃদ্ধির ধারা বজায় রয়েছে। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও সিকদার ইন্স্যুরেন্সের আয় কিছুটা কমলেও ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে। পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের পারফরম্যান্স তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল।
এই প্রতিবেদন বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানিগুলোর আর্থিক কার্যক্রম বিশ্লেষণে সহায়ক হতে পারে এবং বাজারের গতিপথ সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে।
মো: জাহিদ/