
নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের অভাবনীয় উত্থান ঘটেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। একইসাথে লেনদেনের পরিমাণও পৌঁছেছে ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে, যা বাজারে সাময়িকভাবে ইতিবাচক প্রবণতা তৈরি করেছে।
তবে সামগ্রিক চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই সূচকবৃদ্ধি বাজারের একটি ক্ষুদ্র অংশে সীমাবদ্ধ ছিল। অধিকাংশ খাত ও কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, যা বাজারের ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
সূচকবৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয়হীন খাতসমূহ
তথ্য বিশ্লেষণ অনুযায়ী, অন্তত আটটি প্রধান খাত — জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, জীবন বীমা, বস্ত্র, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি, ট্যানারি, সিরামিক এবং বিবিধ — বৃহস্পতিবার দরপতনের মুখে পড়ে।
ট্যানারি খাত ছিল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, যেখানে ৬টি কোম্পানির মধ্যে ৫টির শেয়ারদর (৮৩.৩৩%) কমেছে।
জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতে ২৬টি কোম্পানির দর কমেছে (৬১.৯০%), যেখানে মাত্র ১৩টির দর বেড়েছে।
জীবন বীমা খাতে ৮টি কোম্পানির শেয়ার কমেছে (৫৭.১৪%), দর বেড়েছে ৫টির (৩৫.৭০%)।
বস্ত্র খাতে ৩৩টি কোম্পানি দরপতনের শিকার (৫৬.৯০%), ১৩টি কোম্পানি দরবৃদ্ধি দেখিয়েছে।
সিরামিক খাতে ৩টি কোম্পানির দর কমেছে (৬০%), একটি কোম্পানির বেড়েছে (৪০%)।
এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, বাজারের সামগ্রিক উত্থান নির্ভর করছে কিছু নির্দিষ্ট বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির ওপর। বিপরীতে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ক্যাপের শেয়ারগুলোর পারফরম্যান্স তুলনামূলকভাবে দুর্বল।
বাজার কাঠামো নিয়ে নতুন করে মূল্যায়নের প্রয়োজন
বাজার সূচক যখন ঐতিহাসিক উচ্চতায়, তখন অধিকাংশ কোম্পানির দর হ্রাস পাওয়া বিনিয়োগকারীদের জন্য অস্পষ্ট সংকেত হতে পারে। এই ধরনের একমুখী প্রবৃদ্ধি বাজারের স্বাভাবিক প্রবণতার ইঙ্গিত দেয় না এবং ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি সম্ভাব্য সংশোধনের ঝুঁকি তৈরি করে।
বিশ্লেষকদের মূল্যায়ন
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য দরকার সব খাতের ভারসাম্যপূর্ণ অংশগ্রহণ। কেবলমাত্র বৃহৎ কোম্পানিগুলোর উপর নির্ভর করে সূচক বাড়া সাময়িক সুবিধা দিলেও, দীর্ঘমেয়াদে তা বাজার স্থিতিশীলতার জন্য যথেষ্ট নয়।
তারা পরামর্শ দিচ্ছেন, নীতি প্রণেতা ও নিয়ন্ত্রকদের উচিত খাতভিত্তিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করে স্বচ্ছতা, তথ্যপ্রবাহ ও খাতভিত্তিক সহায়তা জোরদার করা, যাতে সকল স্তরের কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়।
আল-মামুন/
তবে সামগ্রিক চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই সূচকবৃদ্ধি বাজারের একটি ক্ষুদ্র অংশে সীমাবদ্ধ ছিল। অধিকাংশ খাত ও কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, যা বাজারের ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
সূচকবৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয়হীন খাতসমূহ
তথ্য বিশ্লেষণ অনুযায়ী, অন্তত আটটি প্রধান খাত — জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, জীবন বীমা, বস্ত্র, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি, ট্যানারি, সিরামিক এবং বিবিধ — বৃহস্পতিবার দরপতনের মুখে পড়ে।
ট্যানারি খাত ছিল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, যেখানে ৬টি কোম্পানির মধ্যে ৫টির শেয়ারদর (৮৩.৩৩%) কমেছে।
জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতে ২৬টি কোম্পানির দর কমেছে (৬১.৯০%), যেখানে মাত্র ১৩টির দর বেড়েছে।
জীবন বীমা খাতে ৮টি কোম্পানির শেয়ার কমেছে (৫৭.১৪%), দর বেড়েছে ৫টির (৩৫.৭০%)।
বস্ত্র খাতে ৩৩টি কোম্পানি দরপতনের শিকার (৫৬.৯০%), ১৩টি কোম্পানি দরবৃদ্ধি দেখিয়েছে।
সিরামিক খাতে ৩টি কোম্পানির দর কমেছে (৬০%), একটি কোম্পানির বেড়েছে (৪০%)।
এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, বাজারের সামগ্রিক উত্থান নির্ভর করছে কিছু নির্দিষ্ট বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির ওপর। বিপরীতে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ক্যাপের শেয়ারগুলোর পারফরম্যান্স তুলনামূলকভাবে দুর্বল।
বাজার কাঠামো নিয়ে নতুন করে মূল্যায়নের প্রয়োজন
বাজার সূচক যখন ঐতিহাসিক উচ্চতায়, তখন অধিকাংশ কোম্পানির দর হ্রাস পাওয়া বিনিয়োগকারীদের জন্য অস্পষ্ট সংকেত হতে পারে। এই ধরনের একমুখী প্রবৃদ্ধি বাজারের স্বাভাবিক প্রবণতার ইঙ্গিত দেয় না এবং ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি সম্ভাব্য সংশোধনের ঝুঁকি তৈরি করে।
বিশ্লেষকদের মূল্যায়ন
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য দরকার সব খাতের ভারসাম্যপূর্ণ অংশগ্রহণ। কেবলমাত্র বৃহৎ কোম্পানিগুলোর উপর নির্ভর করে সূচক বাড়া সাময়িক সুবিধা দিলেও, দীর্ঘমেয়াদে তা বাজার স্থিতিশীলতার জন্য যথেষ্ট নয়।
তারা পরামর্শ দিচ্ছেন, নীতি প্রণেতা ও নিয়ন্ত্রকদের উচিত খাতভিত্তিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করে স্বচ্ছতা, তথ্যপ্রবাহ ও খাতভিত্তিক সহায়তা জোরদার করা, যাতে সকল স্তরের কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়।
আল-মামুন/