​ব্যাংক খাতে রক্তক্ষরণ, পাট খাতে উৎসব! এক সপ্তাহেই লেনদেন বাড়ল ১৭৫%!

আপলোড সময় : ০৯-০৮-২০২৫ ০১:২২:৪৮ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৯-০৮-২০২৫ ০১:২২:৪৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনে উল্লেখযোগ্য ওঠাপড়ার মধ্য দিয়ে সপ্তাহটি শেষ হয়েছে। ব্যাংক খাতে লেনদেনের পরিমাণ হ্রাস পাওয়া গেলেও পাট খাতে লেনদেনের ভোল্টিলিটি লক্ষ্যণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ১৭৫ শতাংশের বেশি হয়েছে।

সপ্তাহের শুরুতে ৩ আগস্ট ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১,১৩৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড। কিন্তু এরপরের দিন লেনদেন কমে ৯১১ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় নেমে আসে এবং পরবর্তী কার্যদিবসগুলোতেও হ্রাসের ধারা অব্যাহত থাকে। ব্যাংক খাতের গড় দৈনিক লেনদেন ১২.১৯ শতাংশ কমেছে, যা বাজারে বিনিয়োগকারীদের সংশয়ের প্রতিফলন।

ডিএসইএক্স সূচক সপ্তাহজুড়ে ৩৫ পয়েন্ট পতিত হয়ে ৫,৪০৮.০৭ পয়েন্টে স্থিত হয়। বাজার মূলধন সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৯ কোটি টাকায় পৌঁছায়, যা ২,৮৫৬ কোটি টাকা বা ০.৪ শতাংশের সমান।

খাতভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পাট খাতে বিনিয়োগের আকার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ খাতে গড় দৈনিক লেনদেন ১৭৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে, যা অন্যান্য খাতের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। ওষুধ ও রসায়ন খাতেও গড় লেনদেন প্রায় ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মূল্য পরিবর্তনের দিকে নজর দিলে দেখা যায়, গত সপ্তাহে শেয়ারের দাম বৃদ্ধির তালিকায় প্রধানত ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলো শীর্ষস্থান দখল করেছে, যেখানে দাম কমার তালিকায় ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরির কয়েকটি কোম্পানি ছিল।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য অনুযায়ী, লেনদেন কমার পাশাপাশি শেয়ারশূন্য বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৭১১টি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বাজারের অস্থিরতার লক্ষণ।

সার্বিকভাবে, ব্যাংক খাতের ঘাটতি সত্ত্বেও পাট ও ওষুধ খাত বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করেছে। তবে বাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।

আল-মামুন/

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক ও প্রকাশক : তরু শাহারিয়ার সর্গ
নির্বাহী সম্পাদক : চামেলী খাতুন
বার্তা সম্পাদক : মোঃ রবিউল ইসলাম

অফিস :

অফিস : পান্তপথ, ঢাকা, বাংলাদেশ-১২০৫
ইমেইল : jatiyopotrika@gmail.com
মোবাইল : 01786332137