
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী দেশের শেয়ারবাজারে দুর্বল কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তি বিনিয়োগকারীর আস্থাকে বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, গত দেড় দশকে ভুল নীতি এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থার স্বচ্ছতা ও দায়িত্বহীনতার অভাবে বাজারে অসংগতি ও অস্থিরতা বিরাজ করছে।
শাকিল রিজভী বলেন, “বিনিয়োগকারীরাই শেয়ারবাজারের প্রাণ। দুর্বল বা বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করে বাজারের আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। ১৯৯৬ ও ২০০৯-১০ সালের বাজার সমস্যার পুনরাবৃত্তি এ কারণে ঘটেছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর ২ সিসি ধারার অপব্যবহার করে দুর্বল কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করেছে এবং বিভিন্ন রকম ছাড় দিয়ে বাজারকে অস্থিতিশীল করেছে। এ কারণে নিয়ন্ত্রণ সংস্থায় স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতার অভাব লক্ষ্য করা যায়।
রিজভী বলেন, “বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই দফায়, মোট ছয় বছর দায়িত্ব পালন করতে পারেন। তবে কিছু ব্যক্তি নয় বছর দায়িত্ব পালন করেছেন, যা আইনের পরিপন্থী এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থায় স্বচ্ছতার অভাবকে প্রমাণ করে।”
তিনি সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের গ্রেপ্তারকরণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সদস্যদের বিরুদ্ধেও সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ তদন্ত জরুরি।”
বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উন্নতি এবং ভারতের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে শাকিল রিজভী সতর্ক করে বলেন, “দুর্বল কোম্পানির তালিকাভুক্তি যদি অব্যাহত থাকে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা দায়িত্বশীল না হয়, তাহলে শেয়ারবাজার আবার সংকটগ্রস্ত হতে পারে।”
তিনি যোগ করেন, “শেয়ারবাজারের টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন ভালো ও শক্তিশালী কোম্পানি। ব্যাংক থেকে সহজ ঋণ পাওয়ার কারণে অনেক ভালো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসতে আগ্রহী নয়, যদিও দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য শেয়ারবাজার অপরিহার্য।”
শাকিল রিজভী ব্যাংকিং খাতের সুদহার নিয়ে বলেন, “হাসিনা সরকারের আমলে সুদহার ৬-৯ শতাংশে নামানো হয়, যা আর্থিক খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। পরবর্তীতে সুদহার পুনঃসংশোধন করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হয়েছে, যা শেয়ারবাজারের জন্য ইতিবাচক।”
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও শুধুমাত্র যোগ্য কোম্পানির তালিকাভুক্তি জরুরি। নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রণে সঠিকতা ছাড়া বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা কঠিন হবে।
মো: জাহিদ/
শাকিল রিজভী বলেন, “বিনিয়োগকারীরাই শেয়ারবাজারের প্রাণ। দুর্বল বা বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করে বাজারের আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। ১৯৯৬ ও ২০০৯-১০ সালের বাজার সমস্যার পুনরাবৃত্তি এ কারণে ঘটেছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর ২ সিসি ধারার অপব্যবহার করে দুর্বল কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করেছে এবং বিভিন্ন রকম ছাড় দিয়ে বাজারকে অস্থিতিশীল করেছে। এ কারণে নিয়ন্ত্রণ সংস্থায় স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতার অভাব লক্ষ্য করা যায়।
রিজভী বলেন, “বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই দফায়, মোট ছয় বছর দায়িত্ব পালন করতে পারেন। তবে কিছু ব্যক্তি নয় বছর দায়িত্ব পালন করেছেন, যা আইনের পরিপন্থী এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থায় স্বচ্ছতার অভাবকে প্রমাণ করে।”
তিনি সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের গ্রেপ্তারকরণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সদস্যদের বিরুদ্ধেও সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ তদন্ত জরুরি।”
বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উন্নতি এবং ভারতের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে শাকিল রিজভী সতর্ক করে বলেন, “দুর্বল কোম্পানির তালিকাভুক্তি যদি অব্যাহত থাকে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা দায়িত্বশীল না হয়, তাহলে শেয়ারবাজার আবার সংকটগ্রস্ত হতে পারে।”
তিনি যোগ করেন, “শেয়ারবাজারের টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন ভালো ও শক্তিশালী কোম্পানি। ব্যাংক থেকে সহজ ঋণ পাওয়ার কারণে অনেক ভালো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসতে আগ্রহী নয়, যদিও দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য শেয়ারবাজার অপরিহার্য।”
শাকিল রিজভী ব্যাংকিং খাতের সুদহার নিয়ে বলেন, “হাসিনা সরকারের আমলে সুদহার ৬-৯ শতাংশে নামানো হয়, যা আর্থিক খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। পরবর্তীতে সুদহার পুনঃসংশোধন করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হয়েছে, যা শেয়ারবাজারের জন্য ইতিবাচক।”
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও শুধুমাত্র যোগ্য কোম্পানির তালিকাভুক্তি জরুরি। নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রণে সঠিকতা ছাড়া বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা কঠিন হবে।
মো: জাহিদ/